• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ১৫৩৮ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য মোংলায়

/ ৭৯ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেল সেতুর পঞ্চম চালানের ১৬৮টি প্যাকেজের ১৫৩৭ দশমিক ৭০০ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বিদেশি জাহাজ ‘এমভি থর ফ্রেন্ড’। সোমবার ( ১০ অক্টোবর ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পণ্য নিয়ে পানামা পতাকাবাহী এই জাহাজটি মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে।

বিকেলে জাহাজ থেকে এসব মেশিনারি পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এমভি থর ফ্রেন্ড নামের এই বিদেশি জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিমশিপ শিপিংয়ের প্রতিনিধি মাহাবুব আলম হিরো জানান, ‘গত ২০ দিন আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেল সেতুর পঞ্চম চালানের মেশিনারি পণ্য নিয়ে সিঙ্গাপুরের হাই ফং বন্দর থেকে এমভি থর ফ্রেন্ড জাহাজটি ছেড়ে আসে। জাহাজটিতে ১৬৮টি প্যাকেজের ১৫৩৭ দশমিক ৭০০ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্যসহ আনুষঙ্গিক মালামাল রয়েছে। সোমবার দুপুরে জাহাজটি মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। বিকেলে স্থানীয় শ্রমিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স খুলনা ট্রেডার্স জাহাজ থেকে এসব পণ্য খালাস শুরু করেছে। পরে এসব মেশিনারি পণ্য নদী পথে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু এলাকায় পাঠানো হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার পানামা পতাকাবাহীর এমভি হোসাই ক্রাউন নামে আরও একটি জাহাজে এই রেল সেতুর ৮৫ প্যাকেজের ৯১৭ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য আসবে। এর আগে ৪টি জাহাজে আসা রেল সেতুর মেশিনারি পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হয়েছে’।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. মূসা জানান, গত কয়েক বছরে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে। সরকারের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রো রেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল দি্যুৎ কেন্দসহ সরকারের মেগা প্রকল্পের মেশিনারি পণ্যসহ মালামাল মোংলা বন্দর ব্যবহার করে দেশে আনা হচ্ছে।

সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পঞ্চম চালানের মেশিনারি পণ্য বন্দরে পৌঁছেছে। খুব দ্রুত এসব মেশিনারি পণ্য খালাস শেষে নদী পথে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু এলাকায় পাঠানো হবে। মঙ্গলবার পানামা পতাকাবাহীর এমভি হোসাই ক্রাউন নামে আরও একটি জাহাজে এই রেল সেতুর ৮৫ প্যাকেজের ৯১৭ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য আসবে। মোংলা বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়াতে বন্দরের ইনারবার ড্রেজিংসহ অনেক কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা চট্টগ্রাম বন্দরের কাছাকাছি পৌঁছাবে।


আরো পড়ুন