• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন

সীমান্তে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় হাইকমিশনের বিবৃতি

/ ৯২ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২২

সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহতের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন। রোববার গভীর রাতের ওই ঘটনায় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বিষ্ণুপাড়া সীমান্তের দুই পাশে ঘন গাছপালা এবং ভারতের অংশে কলাবাগান রয়েছে। সীমান্তের এই এলাকাটি নিচু হওয়ায় এ অঞ্চলে প্রায়ই চোরাকারবারিরা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালায়।

সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পারাপারের জন্য দুই দেশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে একটি অস্থায়ী ফাঁক তৈরি করা হয়েছে যা মেরামত করা হচ্ছে। ফাঁকাটি বন্ধ করতে বর্তমানে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করাও হয়েছে। হাইকমিশন জানায়, বিএসএফের একটি দল বাংলাদেশে থেকে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ জন চোরাকারবারি দলকে ভারতের দিকে অগ্রসর হতে দেখে। একইসময়ে ভারত থেকে আরও ১৩-১৫ জন চোরাকারবারি গবাদি পশু পাচারের চেষ্টা করে সীমান্তের কাছে আসে। তারা এসময় ওই ফাঁক থেকে দুই দেশে পারাপারের চেষ্টা চালায়।

এসময় চোরাকারবারিদের থামতে বললে তারা সেখানে না থেমে বিএসএফ দলের কাছাকাছি চলে আসে। এসময় তাদের প্রতিহত করতে গেলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে তারা। বিএসএফের দাবি, সেনাদের ওপর রড দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে চোরাকারবারিরা। ওইসময়ে সৃষ্ট সংঘর্ষে বিএসএফ কর্মীদের একটি রাইফেল ও রেডিও সেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এসময় নিরাপত্তার জন্য বিএসএফ সদস্যরা নিয়ন্ত্রিতভাবে চোরাকারবারিদের দিকে দুই রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। গুলি লেগে এক বাংলাদেশি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বাকী গুলি গিয়ে লাগে পাচারকৃত মহিষের গায়ে। সেখানে ঘন গাছপালা ও অন্ধকার থাকায় চোরাকারবারিরা ভারত ও বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিজিবির কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএসএফ।

অন্যদিকে, সাতক্ষীরা সীমান্তে নিহতের বিষয়ে হাইকমিশন জানিয়েছে, সীমান্তের এপারে বিএসএফ-এর এ ধরনের কোনো গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। মৃতদেহ ভারতের দিকে নয়, সীমান্তের বাংলাদেশের দিক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।


আরো পড়ুন