• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন

খেরসনে নিজেদের অগ্রগতির দাবি ইউক্রেনের

/ ৯০ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চল খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নিতে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করছে মস্কো ও কিয়েভ বাহিনী। রাশিয়ার দখলকৃত এ অঞ্চলে নিজেদের অগ্রগতির দাবি করেছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। তারা বলছে, সেখানে রাশিয়ার বাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে ও তারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনীয় বাহিনী খেরসনের দক্ষিণাঞ্চলের ৫০০ কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এমনকি কয়েক ডজন বসতি পুনরুদ্ধার করেছে।
এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘পূর্বেও সামরিক সাফলতা হয়েছে। খেরসনে ইউক্রেন বাহিনীর শক্ত অবস্থান যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার পরাজয়ের একটি লক্ষণ বলে দাবি করছে বিশ্লেষকরা।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া গুমেনিউক বলেছেন, পুনরুদ্ধার করা অঞ্চলটিতে প্রায় ৩০টি শহর ও গ্রামের ঘর বাড়ি রয়েছে যা কয়েক মাস ধরে রাশিয়ান বাহিনীর দখলে ছিল।

যুদ্ধ শুরুর আগে খেরসনের লোকসংখ্যা ছিল অন্তত ১০ লাখ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সেনারা হামলার পরপরই এই অঞ্চলটি দখলে নেয়। এ দিকে রুশ সমর্থিত খেরসনের নেতারা ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। খেরসন অঞ্চলের রাশিয়ান নিযুক্ত উপ-প্রধান কিরিল স্ট্রেমাসভ বলেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের অগ্রগতি আটকে রেখেছে।

প্রাগে ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধানদের এক বৈঠকে পশ্চিমা সরকারগুলোকে আগ্রাসী রাশিয়াকে শাস্তি দিতে তার সেনাবাহিনীকে আরও অস্ত্র সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউক্রেনকে অবশ্যই মস্কোর আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে, যাতে তারা প্রাগের দিকে অগ্রসর না হতে পারে।

এ দিকে বৃহস্পতিবার জাপোরোঝিয়ায় সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে দুই নারী নিহত ও শিশুসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে পাঁচজন আটকা পড়ে আছে। অন্যদিকে লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের আরও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের দাবি করছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া নেপিয়ার নদীর পশ্চিম তীরেও নিজেদের আধিপত্য বাড়ার কথা জানিয়েছে তারা।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, আমরা দোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চলে আরও এগিয়েছি। এসব অঞ্চল ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া দ্বারা আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা সাধারণ জনগণের মনে ভীতি ছড়ানোর জন্য রুশ বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভীতি ছড়ানোর জন্য তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাদের এসব সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে। ’

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া। এরপরেই দুদেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। সবশেষ ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে নিজেদের ভূখণ্ডে যুক্ত করে একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন পুতিন। এমনকি সংযুক্ত অঞ্চলসহ নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেন এই রুশ প্রেসিডেন্ট।


আরো পড়ুন