• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন

পদ্মা সেতুর আদলে পূজামণ্ডপ দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

/ ১০৪ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২
পদ্মা সেতুর আদলে পূজামণ্ডপ দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

শেরপুরে পদ্মাসেতুর আদলে সাজানো হয়েছে বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাবের পূজা মণ্ডপ। এভাবে মণ্ডপ সাজাতে সময় লেগেছে প্রায় মাস। এই ভিন্নধর্মী পূজামণ্ডপ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

জানা গেছে, চলতি বছর শেরপুরে ১৫৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়
মণ্ডপগুলোতে দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। গত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে ততোটা জাঁকজমকভাবে দুর্গোৎসবের আয়োজন না করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার প্রতিটি মণ্ডপ সাজানো হয়েছে আকর্ষণীয় ও ভিন্ন ভিন্ন সাজে। মহালয়ার পর থেকে পূণ্যার্থীদের প্রার্থনা আর দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে মণ্ডপগুলো।

প্রতি বছরই সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে সাজানো হয় এ মন্দিরে মণ্ডপ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি বছর মণ্ডপ সাজানো হয়েছে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর আদলে। ঐতিহাসিক এমন স্থাপনার আদলে মণ্ডপ সাজিয়ে আলোচনায় এসেছেন এই মণ্ডপের কারিগর সনজিত সূত্রধর। স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় তিনি পুকুরের উপর ফুটিয়ে তুলেছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আর মণ্ডপ সাজাতে সময় লেগেছে এক মাস।

সনজিত সূত্রধরের স্ত্রী বলেন, প্রতি বছরই বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে ভিন্ন ভিন্ন সাজে মণ্ডপ সাজানো হয়। গত বছর করোনাভাইরাসের আদলে সাজানো হয় মণ্ডপ। এবার পদ্মা সেতুর আদলে সাজানো হল মণ্ডপ। তবে প্রথম দিকে আমার স্বামী কিছুটা ভয় পেয়েছিলেন। পরে আমার অনুপ্রেরণায় এক মাসের পরিশ্রমে মণ্ডপটি পদ্মাসেতুর আদলে সাজিয়েছেন।

কারিগর সনজিত সূত্রধর বলেন, আমার স্ত্রীর কথায় প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। পরে সাহস করে কাজ শুরু করি। মণ্ডপটি তৈরিতে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তবে এখনো কিছু হিসেব বাকি আছে। এদিকে ভিন্নধর্মী এই আয়োজন দেখতে দিনরাত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। জেলা শহরের বাইরে থেকেও পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থী আসছেন এ মণ্ডপ দেখতে।

জয়ন্ত দে বলেন, স্বপ্নের পদ্মাসেতু দেখতে অনেকেই যেতে পারবেন না। তারা আগ্রহ নিয়ে এই সেতু দেখতে আসছেন। রিপন দে বলেন, পুকুরে পদ্মাসেতু তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি ফেসবুকে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ফলে সবাই নতুন এই আয়োজন দেখতে আসছেন।

তবে প্রতি বছর নিজেদের অর্থায়নে আকর্ষণীয় আয়োজন করলেও উন্নয়ন হয়নি বাগবাড়ি মন্দিরের। বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাব মন্দিরের সভাপতি বিজয় দে বাবন বলেন, আমাদের এই প্রাচীন মন্দিরে প্রতি বছরই ভিন্ন কিছু আয়োজনের চেষ্টা চলে। কিন্তু এই প্রাচীন মন্দিরে এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমাদের মন্দিরের জন্য আর্থিক সহযোগিতা চাই। যাতে আমাদের মন্দিরটা একটু উন্নত করতে পারি।


আরো পড়ুন