• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন

যাত্রী পাচ্ছে না দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলো!

/ ৮৫ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

আজিজুল ইসলাম যুবরাজ, ঢাকাঃ
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে বড় বাহন লঞ্চ। ইদানীং প্রায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো যে, পদ্মা সেতু হওয়াতে লঞ্চগুলো যথাযথ যাত্রী পাচ্ছে না।
তবে গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, অনেকটা আগের মতোই যাত্রী রয়েছে লঞ্চগুলোতে। যদিও যাত্রীরা সব সময়ই চায় নতুন লঞ্চে ভ্রমণ করতে। আর সে কারণে পুরনো লঞ্চগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম। সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৪৬৯ টাকা হলেও লঞ্চগুলো যাত্রীদের থেকে ৪০০ টাকা করেই ভাড়া নিচ্ছে। তবে সোফা জোনে ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা এবং সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিন যথাক্রমে ১০০০ ও ২০০০ টাকাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চের স্টাফরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন লঞ্চ শুভরাজ-৯ এ অন্যান্য লঞ্চের তুলনায় যাত্রীদের চাপ ঠিক আগের মতোই রয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার-৯, মানামীতেও যাত্রীদের আনাগোনা আগের মতো থাকলেও কম যাত্রী দেখা গেছে সুরভী-৯ লঞ্চে।
এক্ষেত্রে অ্যাডভেঞ্চার-৯ এর টিকেট মাষ্টার মোহাম্মদ হোসেনে বলেন, লঞ্চের যাত্রীদের চাপ আগের মতোই রয়েছে তবে পদ্মা সেতু হওয়ার পরে কিছুটা ব্যাঘাত পড়েছে লঞ্চগুলোতে। বছরের শেষে ডিসেম্বরে গিয়েই বোঝা যাবে আসলে যাত্রী কমলো কি না!

এম.ভি মানামী লঞ্চের সুপারভাইজার শুভ বলেন, আসলে পদ্মা সেতু হওয়াতে লঞ্চ যাতায়াতে যাত্রী আনাগোনায় তেমন কোন ব্যাঘাত ঘটে নি। কিন্তু লঞ্চের শিডিউল ৪ দিন পরপর করাতে সংশয়ে পড়তে হচ্ছে আমাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের লঞ্চের নিয়মিত যাত্রীদের এখন আর আমরা পাচ্ছি না; দেখা গেলো, আজ যে যাত্রী যাবে সে আগামীকাল কিংবা পরশু ফিরবে সেক্ষেত্রে সে আগামী ৩ দিনেও আমাদের লঞ্চ পাচ্ছে না। সুতরাং ঐ দিক থেকে আমাদের ব্যাপক লোকসান হচ্ছে কিন্তু যাত্রীদের চাপ কখনোই কম ছিলো না। সুরভী-৯ এর কেরাণী সাইদুল বলেন, পদ্মা সেতু হওয়াতে ততটা ক্ষতির সম্মুখীন না হলেও লঞ্চের শিডিউলের কারণে অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি আমরা।

যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জরুরী কাজে কিংবা দ্রুততম সময়ে গাড়িতে গেলেও ভারী মালামাল কিংবা একটু প্রশান্তির জন্য লঞ্চ যাতায়াতকেই প্রাধান্য দেন তারা। লঞ্চ ভ্রমণকে এখনো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ একটি আরামদায়ক এবং প্রশান্তির যাত্রা মনে করেন।


আরো পড়ুন