• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৯ অপরাহ্ন

নাটোরে আলোচিত সেই কলেজ শিক্ষিকাকে বরখাস্ত

/ ১২০ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নাটোরের আলোচিত কলেজ শিক্ষিকা নাজমুন নাহার সাথীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কলেজ পরিচালনা পরিষদ। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আনা অনৈতিক যৌনাচারের অভিযোগের সঠিক ব্যাখা দিতে না পারায় আজ বৃহস্পতিবার তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে করা হয়েছে।

আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ পরিচালনা পরিষদ সভাপতি ও নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসতিয়াক আহমেদ ডলার।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসের মাঝামাঝি ওই শিক্ষিকার সঙ্গে নাটোরে বসবাসকারী কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম লিপনের ৪০ মিনিটের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় পর দেড় মাস পর কলেজের ৭০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, কিছুু শিক্ষার্থী ও অন্য একজন নারী ভুক্তভোগি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খানের কাছে লিখিত আলাদা তিনটি আবেদন করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন। পরে বিষয়টি কলেজ পরিচালনা পরিষদের মিটিং এ আলোচনা হওয়ায় পর তাকে তিন বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এসব নোটিশের জবাবে শিক্ষিকা এই চিকিৎসককে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করার দাবি করলেও তার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।


এদিকে গত ১২ আগস্ট তারিখ ব্যবহার করে এই শিক্ষিকা ঢাকা জজ কোর্টের মরহুম প্রবীণ আইনজীবী এম এ রেজার সিল স্বাক্ষর জাল ও স্ট্যাম্প ক্রয়ের তারিখ জালিয়াতি করে তালাকের একটি হলফনামা ও তালাকের নোটিশ প্রদানের অনুলিপি কলেজের কারণ দর্শানোর প্রথম নোটিশের জবাবের সঙ্গে গত ২৫ আগস্ট কলেজে জমা দেন। বিষয়টি কলেজের নজরে আসায় এবং তাকে পরবর্তীকালে নোটিশে জালিয়াতির কারণ ব্যাখা করতে বলায় তিনি মরহুম প্রবীণ আইনজীবী এম এ রেজার সিল স্বাক্ষর জালিয়াতির কথা স্বীকার করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পুনরায় একই আদালতের আইনজীবী সোলায়মান হোসেনের সাক্ষরে নতুন আরেকটি হলফনামা জমা দেন।

কলেজ পরিচালনা পরিষদ সভাপতি ও নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসতিয়াক আহমেদ ডলার বলেছেন, এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আসা অনৈতিক যৌনাচারের অভিযোগের সঠিক ব্যাখা এবং বিয়ের সঠিক প্রমাণ তিনি উপস্থাপন করতে পারেননি। উল্টো বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে এই শিক্ষিকার বিষয়টি চূড়ান্ত ভাবে নিস্পত্তি করবেন বলেও তিনি জানান।

এসব বিষয়ে জানতে শিক্ষিকা নাজমুন নাহার সাথীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেই তিনি রিসিভি করেননি। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান বলেছেন, জেলার অন্যতম প্রধান ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন একজন শিক্ষিকা গত ছয় বছর থেকে কর্মরত ছিলেন এটা ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রী এমন শিক্ষিকার জন্য লজ্জিত ও বিব্রত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।


আরো পড়ুন