• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন

পাকিস্তান জিতল পাকিস্তানের মতো করেই

/ ১২৯ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। কথাটা তো আর সাধে বলা হয় না। আজ রোববার করাচিতে ইংল্যান্ডকে যেভাবে হারাল দলটি, তাতে আবারও প্রমাণ হলো, দল হিসেবে কতটা আনপ্রেডিক্টেবল তারা।

সাত ম্যাচ টি২০ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আজ ইংল্যান্ডকে ৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ে সিরিজে সমতাও ফেরাল স্বাগতিকরা। অথচ ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইংল্যান্ড ১৮তম ওভারেই ম্যাচ প্রায় নিজেদের করে নেয়। ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল মোটে ৯ রান। হাতে উইকেট ছিল তিনটি। সেখান থেকে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেন হারিস রউফ। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার হজম করলেও এরপরের দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। ওই ওভারে তিনি খবর করেন মাত্র ৫ রান।

আর ইনিংসের শেষ ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিম বাকি কাজটুকু সারেন পাকিস্তানের হয়ে। ডিফেন্ড করার জন্য মাত্র ৪ রান পেলেও, কোনো রান খরচা না করেই দ্বিতীয় বলে তিনি ইংলিশদের শেষ উইকেটটিও তুলে নেন। ফল, পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ যায় পাকিস্তানের হাতে।

নাটকীয়ভাবে ম্যাচ শেষের আগে খেলতে নেমেই ইতিহাস গড়েছিল পাকিস্তান। আজ প্রথম দল হিসেবে পাকিস্তান খেলতে নেমেছিল ২০০তম আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ। তবে মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচে টস হারেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। টস হেরে আগে ব্যাটিং নামতে হলেও, শুরুটা দারুণ পেয়েছিল স্বাগতিকরা।

ইন-ফর্ম মোহাম্মদ রিজওয়ান শুরু থেকেই চড়াও হন ইংলিশ বোলারদের ওপর। পাকিস্তানের ইনিংসের প্রথম ৫ বাউন্ডারির সবকটিই আসে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। বাবর আজম যেন উপভোগই করছিলেন ওপেনিং সঙ্গীর ব্যাটিং। তাই তিনি রয়েসয়েই খেললেন অনেকক্ষণ। তাদের সম্মিলিত এই প্রচেষ্টায় পাওয়ারপ্লেতে পাকিস্তান তোলে ৫২ রান।

আজ আরেকবার শতরানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাবর-রিজওয়ান। তবে ২৮ বলে ৩৬ রান করে বাবর কাটা পড়লে ৯৭ রানে থামে এই জুটি। এরপর শান মাসুদের সঙ্গে ৪০ বলে আবার ৫২ রানের একটি জুটি গড়েন রিজওয়ান। রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৬৭ বলে ৮৮ রান করে। পাকিস্তান তোলে ৪ উইকেটে ১৬৬ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে রিস টপলি নেন ৩৭ রানে ২ উইকেট।

জবাব দিতে নেমে পিটার সল্ট প্রথম তিন বলে দুই বাউন্ডারি মেরে দারুণ এক শুরুর ইঙ্গিত দেন। তবে মোহাম্মদ নেওয়াজের চতুর্থ বলে মিড উইকেটে মোহাম্মদ ওয়াসিমের কাছে ধরা পড়েন তিনি। পরবর্তী ওভারের শুরুটাও হয় বাউন্ডারি দিয়ে। তবে শর্ট মিড উইকেটে উসমান কাদিরের দারুণ ক্যাচে পরের বলেই ফিরতে হয় অ্যালেক্স হেলসকে। হাসনাইনের সে ওভারেই ০ রানে ফেরেন চলতি সিরিজে অভিষিক্ত উইল জ্যাকস।

ইংল্যান্ড মাত্র ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে তখন মহাবিপদে। তবে আগের ম্যাচের মতো এদিনও বেন ডাকেট ও হ্যারি ব্রুক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এ দুজন চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৩ রান। তবে প্রথম ওভারে পাকিস্তানকে উইকেট এনে দেওয়া নেওয়াজ সে জুটি ভাঙেন। অধিনায়ক মঈন আলী ব্রুককে সঙ্গে নিয়ে আবার ৪৯ রানের জুটি গড়লে জয়ই দেখছিল ইংল্যান্ড। তবে সে জুটি ভেঙে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান নওয়াজ। ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ১৬৩ রানে।


আরো পড়ুন