• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৫ অপরাহ্ন

গাজীপুরে যুবককে রাতভর নির্যাতন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

/ ৭৩ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
গাজীপুরে যুবককে রাতভর নির্যাতন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

গাজীপুরের শ্রীপুরে চোর সন্দেহে পিটুনিতে আহত যুবক রানা মিয়া (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রানাকে আটকে রেখে পেটানো হয়। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে উদ্ধারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে রানার লাশ শ্রীপুর থানায় আনা হয়। স্বজনাদের দাবি, রানাকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

নিহত রানা মিয়া উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

নিহত রানার ভাই কবির হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে মাওনা পিয়ার আলী কলেজের পিছনে রানাকে ভাঙারি দোকানের মালিক শিপনসহ কয়েকজন ডেকে নিয়ে যান। এরপর তাকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। শনিবার সকাল পর্যন্ত তাকে মারধর করা হয়। রানার বাবা আমিরুল ইসলাম ও মা খবর পেয়ে সেখানে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে রানাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেকে নেওয়ার পথে রানার মৃত্যু হয়।

নিহতের বাবা আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে তারা দফায় দফায় নির্যাতন করেছে। নির্যাতনে রানার বুকের পাজর, দুই হাত, পা ভেঙে যায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভাঙ্গারি দোকানের ব্যবসায়ী শিপনের বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এসময় শিপনের মা রোকেয়া আক্তার বলেন, রানা শিপনকে মারধর করেনি। তাহলে আপনার ছেলে পালিয়ে গেলো কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শিপন পালায়নি। সে ব্যবসায়ীক কাজে বাইরে রয়েছে।

মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আব্দুল করিমের ছেলে মো. শিপন মিয়া (২৫) ও উজ্বল মিয়া (২৫) আবুল কাশেমের ছেলে ইমন (২৬) ও আকাশ (২৬)। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আরো পড়ুন