• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন

ডিসি-ইউএনও’র নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার জাল ফেলতেন ফিরোজ

/ ৯৪ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ডিসি-ইউএনও

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোসাবেরুল ইসলামের নাম ভাঙিয়ে সরকারিভাবে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে ফিরোজ আলী খন্দকার (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার দিবাগত গভীর রাতে বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা এলাকা থেকে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ফিরোজ আলী খন্দকার গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার নোয়াদা এলাকার মোকসেদ আলী খন্দকারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা এলাকায় একটি বাড়িতে বসবাস করতেন।

সে নিজেকে বাগেরহাট সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দিতেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, আটক ফিরোজ আলী খন্দকার বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২০ থেকে ২৫ জনকে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ২২০ জনকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়া, কানাডা, রোমানিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন।

এ বাবদ ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। যেখানে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে ব্যাংক চেক জমা দিতে বলা হয় সবাইকে। বিদেশে যাওয়ার খরচ হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা ঋণ পাইয়ে দেয়ারও আশ্বাস দেন ভুক্তভোগীদের।

এভাবে বাগেরহাট সদর উপজেলার মুক্ষাইট এলাকার চা দোকানি আলামিন হোসেন জনিসহ অনেকের কাছ থেকে সরকারিভাবে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে অনলাইন আবেদন, মেডিকেল টেস্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবদ ১২ হাজার টাকা নেয় ফিরোজ। পরে তার দেয়া একটি অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে বলেন ভুক্তভোগীদের। সরকারিভাবে বিদেশে যাবার বিষয়ে আলামিন হোসেন জনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে জানতে পারেন তিনিসহ অন্যরা প্রতারিত হয়েছেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতারণার বিষয়ে দ্রুত থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। জনির অভিযোগের পর রোবববার দিবাগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক ফিরোজ আলী খন্দকারকে আটক করে পুলিশ।


আরো পড়ুন