গত ১১ জুলাই দিবাগত রাতে মোঃ সাগর (২২) নামক এক ব্যক্তি তার কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে পিকনিকের উদ্দেশ্যে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন পূর্ববন্দডাকপাড়া এলাকার মেজবাহ উদ্দীনের বাড়ীর ফাঁকা জায়গায় যায়। পিকনিক শেষে তাদের পিকনিকের সরঞ্জামাদি গোছানোর সময় গোল্ডেন আহাদ (১৯) ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাগর ও তার বন্ধুদের উপর অতর্কিত হামলা করে তাদেরকে এলোপাতারি মারধর করতে থাকে। সাগর ও তার বন্ধুরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আহাদ ও তার সহযোগীরা জয় মিয়া গলি এলাকায় সাগরকে ধরে ফেলে এবং আহাদ তার সাথে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এসময় আশপাশের লোকজন এসে সাগরকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
চিকিৎসকের পরামর্শে সাগরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে আশঙ্খাজনক অবস্থায় ভর্তি করেন। পরবর্তীতে গত ১২ জুলাই আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সাগর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।
উক্ত ঘটনায় সাগরের পিতা মোঃ খোকন খান (৪৫) বাদী হয়ে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত গোল্ডেন আহাদসহ ০৫ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৯, ধারা- ১৪৩/৩২৩/৩০২/৩৪ দন্ড বিধি। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
উক্ত হত্যা কান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আভিযানিক দল গতকাল ২৯ আগস্ট ২০২২ খ্রিঃ তারিখ ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আগানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাগর হত্যা মামলার অন্যতম আসামী গোল্ডেন আহাদ (১৯)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যা কান্ডের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার সত্যতা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।