• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন

সাহায্যের আবেদন পাকিস্তানের

/ ৯৮ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। এর জেরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও সাহায্যের আবেদন করেছে পাকিস্তান। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, বন্যায় ধ্বংসের মুখে থাকা পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও সহায়তা চাইছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সালমান সুফি বিবিসিকে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও অন্যান্যরা ইতিমধ্যে আমাদের সহযোগিতা করেছে। কিন্তু আমাদের আরও অনেক তহবিল প্রয়োজন। ’

তিনি আরও বলেন, ‘জুনের পর থেকে বন্যায় এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ লাখ লোক। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে পাকিস্তানি সরকার নিজেদের সর্বোচ্চটা দিচ্ছে। আমাদের আরও আন্তর্জাতিক সাহায্য দরকার। ’

‘অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক সমস্যার মুখোমুখি রয়েছে পাকিস্তান। মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে। তবে আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য মৌসুমি বিপর্যয় কাটিয়ে উঠা,’ যোগ করেন তিনি।

এর আগে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহাবাজ শরীফও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।

বিবিসি বলছে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নদীগুলোর পানি উপচে লোকালয়ে ডুকে পড়ে। শক্তিশালী ও আকস্মিক বন্যায় হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

২৩ বছরের জুনায়েদ খান সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেন, ‘কয়েক বছরের শ্রমে করা আমাদের ঘরটি ডুবে যেতে দেখেছি। আমরা এর পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম ও আমাদের স্বপ্নকে শেষ হয়ে যেতে দেখছিলাম।

ভয়াবহ বন্যায় দেশটির দক্ষিণপূর্বের সিন্ধু প্রদেশও খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

পাকিস্তানে কাজ করা বিবিসির সাংবাদিক ফুমজা ফিলহানি জানান, সিন্ধু জুড়ে আমরা যে গ্রামে গিয়েছিলাম সেখানে বাস্তুচ্যুত লোক ছিল। প্রদেশটিতে কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও পরিমাপ করা যায়নি। তবে সেখানকার মানুষজন বলছে, তাদের দেখা সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয় এটি।

হরহামেশায় পাকিস্তানে বন্যা হয়ে থাকে। তবে এবারের বন্যা সম্পূর্ণ আলাদা। দেশটির নাগরিকেরা বলছে, এবারের বৃষ্টি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা।

গত জুন থেকে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তানে। গত কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে এত বৃষ্টিপাত হয়নি, ফলে সিন্ধু, বেলুচিস্তানসহ বেশ কিছু অঞ্চল ভাসছে পানিতে। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট। বিপর্যস্ত জনজীবন। চলতি বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আশ্রয়হীন হয়েছেন তিন লাখের বেশি মানুষ।


আরো পড়ুন