• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৯ অপরাহ্ন

২৬ ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা

/ ৮৫ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

মহামারি করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে মার্কিন এয়ারলাইনসের ২৬ ফ্লাইট বাতিল করেছিল চীন সরকার। এর পাল্টা জবাবে চীনগামী চারটি চীনা এয়ারলাইনস কোম্পানির ২৬টি ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থাটি জানায়, সম্প্রতি করোনার অজুহাতে চীনে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ডেলটা এয়ারলাইনস ও ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ২৬টি ফ্লাইট বাতিল হয় শি প্রশাসন।

এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) চারটি চীনা এয়ারলাইনস কোম্পানির ২৬টি ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন সরকার।
বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের কারণে চিয়ামেন, এয়ার চায়না, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস এবং চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের ২৬টি ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাবে। ৫-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব ফ্লাইট চলাচলের কথা ছিল। বাতিল হওয়া চীনা ফ্লাইটগুলোর মধ্যে ১৯টি লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে এবং সাতটি নিউইয়র্ক থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।

এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস।

মার্কিন পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৭ আগস্ট থেকে চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের নীতি সংশোধন করেছে। এর ফলে চীনগামী ফ্লাইটগুলোতে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্তের হার যদি মোট যাত্রীর সংখ্যার চার শতাংশে পৌঁছায়, তবে একটি ফ্লাইট স্থগিত এবং যদি আট শতাংশে পৌঁছায় তবে দুটি ফ্লাইট স্থগিত করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বারবারই চীন সরকারের এ বিধির বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছে। কেননা এ বিধি অনুযায়ী যাত্রীরা বিমানে ওঠার আগে নেগেটিভ থাকলে এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর পর পজিটিভ হলে অহেতুক এর দায় এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের ওপর চাপবে।

মহামারির শুরু থেকেই আকাশ পরিবহন সেবা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে বেইজিং ও ওয়াশিংটন। ২০২১ সালের আগস্টে বেইজিং ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের চারটি ফ্লাইটে যাত্রী ধারণক্ষমতায় ৪০ শতাংশ সীমা আরোপের পর চীনা এয়ারলাইনগুলোতেও একই ধরনের সীমা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন।


আরো পড়ুন