• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৩ অপরাহ্ন

থানায় ডেকে নিয়ে ইভটিজার যুবককে জুতা পেটার অভিযোগ উঠেছে দারোগার বিরুদ্ধে

/ ১১০ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২

মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর থানায় ডেকে এনে ইভটিজার যুবককে জুতা পেটা কেন? আবার জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রীনগর থানার এএসআই আ: আলিমের বিরুদ্ধে।
গত ১৪ আগস্ট রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীনগর থানার গোলঘরে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী যুবক নাঈমুল কবির ভূইয়া ঘটনার বিষয়ে অফিসার ইনর্চাজকে জানাবে বললে ঐ এএসআই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট লিখে তাকে কোর্টে চালান করে দিবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬মাস পূর্বে উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের সোন্দারদিয়া গ্রামের একটি মেয়ের সাথে সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামের মৃত্য নজরুল ইসলামের পুত্র নাঈমুল কবির ভুইয়ার (৩০) প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে এবং পারিবারিকভাবে বিবাহের কথাবার্তা চলতে থাকে। মেয়ের সাথে ভুক্তভোগী যুবকের সম্পর্কের সুবাদে মেয়ের বাবা মা বাড়ীর জমি রেজিস্ট্রি করার কথা বলে গত দেড় মাস পূর্বে ১লক্ষ টাকা নেয় এবং মেয়ের লেখাপড়ার সব খরচ বহন করতে থাকে ঐ যুবক। পরে জানতে পারে মেয়ের বাবা-মা যুবকের সাথে বিয়ে না দিয়ে অন্যত্র বিবাহ দিবে বলে তার সাথে তালবাহানা করছে।

এ বিষয় ভিকটিম নাঈমুলের সাথে কথা বলে জানা যায় মেয়ে বয়স ১৪/১৫ বছর । মেয়েটির সাথে বিভিন্ন রেকর্ড করা বয়েজ আছে । একে অপরের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো বলে দাবী করছে নাঈমুল কবির ভুইয়া । তিনি আরো বলেন তাহার কাছে প্রমান রয়েছে , থানার গোলঘরে দারোগা নিজে জুতা পেটা করেছেন এবং সাদা কাগজে সাক্ষর রাখেন । অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলন সে আর কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক্য করেনি এটাই প্রথম সম্পর্ক্য ।
তন্তর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন, ছেলে এবং মেয়ের সাথে ঝামেল চলতেছিল। আমি বলে মেয়েকে দিয়া থানায় অভিযোগ করতে বলেছি।তবে বিচারের দিনে আমি থানায় ছিলাম না । এ এস আই আঃ আলিম বিষয়টি মিমাংসা করেছে বলে আমি জেনেছি।

এ বিষয় শ্রীনগর থানার এ এস আই আঃ আলিম বলেন , এই ছেলেটিকে এলাকায় চিহ্নিত ইভটিজার হিসেবে অনেকেই জানে। আমি উভয় পক্ষের সামনেই মুচলেকা হিসেবে সাদা কাগজে সই রাখি এবং উভয়কে এই বয়সে প্রেমের কুফল জানাই । কোন জুতা পেটা করা হয় নাই । এই বিষয়টা ওসি স্যার নিজেও জানেন বিষয় সমন্ধে । আমি দুই পক্ষকে মিমাংশা করার জন্য চেষ্ঠা করেছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযাগ করা হয় তা মিথ্যা বলে জানান আঃ আলিম।

শ্রীনগর থানা অফিসার ইনর্চাজ আমিনুল ইসলাম বলেন, জুতা পিটার ঘটনা আমি কিছুই জানিনা। তবে অভিযোগের আলোকে আইন অনুযায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো পড়ুন