• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১১ অপরাহ্ন

বন্যা-ভূমিধসে ৩৩ মৃত্যু

/ ১০০ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ভারতের একাধিক রাজ্যে ভারি বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ভূমিধস আর বন্যায় হিমাচল প্রদেশে এক পরিবারের ৮ জনসহ অন্তত ২২ জনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় ভারতের সবচেয়ে উত্তরের এ রাজ্যে আরও ১০ জন আহত হয়েছে।

মান্দিতে নিখোঁজ ৬ জনও মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এমনটাই বলেছেন ডেপুটি কমিশনার অরিন্দম চৌধুরী।

উত্তরাখণ্ডে একের পর এক মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, ১০ জন নিখোঁজ। রাজ্যটির বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় এবং একাধিক সেতু ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার গ্রামবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আগে থেকে বন্যা কবলিত উড়িষ্যার একাধিক অংশে নতুন করে ভারি বর্ষণ বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজ্যটির ৫০০ গ্রামের প্রায় সাড়ে লাখ বাসিন্দা আগে থেকেই বন্যাক্রান্ত।

নতুন করে ভারি বর্ষণে সেখানে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

উত্তরাঞ্চলীয় এ রাজ্যটির সরকার এরই মধ্যে ময়ুরভাঞ্জ, কেন্দ্রপারা, বালাসোরসহ একাধিক জেলায় ‍উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহ দল মোতায়েন করেছে।

শনিবার মহানদী নদীতে তীব্র স্রোতে একটি নৌকা ভেসে যাওয়ার পর এর ৭০ আরোহীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে এনডিটিভি।

তুমুল বৃষ্টি ঝাড়খণ্ডের একাধিক জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত করার পাশাপাশি অসংখ্য এলাকার গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে নিয়েছে। ওয়েস্ট সিংবাম জেলায় এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিজের ঘরের মাটির দেয়ালই ওই নারীর গায়ের ওপর পড়েছিল, জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

রামগড় জেলায় ফুঁসে ওঠা নালকারি নদীতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও দুইজনের।

ভারি বর্ষণে পুণ্যার্থীদের যাত্রাপথে বন্যার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় শুক্রবার রাতভর কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় বিষ্ণু দেবী যাত্রা সাময়িক স্থগিত থাকার পর শনিবার সকাল থেকে তা ফের শুরু হয়েছে।

রোববার ভারতের মধ্য প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে এবং সোমবার রাজস্থানের পূর্বে তুমুল বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।


আরো পড়ুন