• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন

সরকারি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাজনৈতিক সভায় চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ (ইউএনও) উপর দায় চাপাচ্ছেন !

/ ১৪৫ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২

সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার ৮নং চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করেছেন। এই নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে।

চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তিনি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েই অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করেছেন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলছেন, তিনি কিছুই জানেন না। জেলা প্রশাসন বলছে, অ্যাম্বুলেন্সটি শুধুমাত্র রোগীদের ব্যবহার করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সরকারি নীতিমালা অমান্য করে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক কাজে চেয়ারম্যান অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করেছেন। এর আগেও রাজনৈতিক কাজে তিনি অ্যাম্বুলেন্সে করে যাতায়াত করেছেন।

চেয়ারম্যানের দাবি, অ্যাম্বুলেন্সটি কেউ ভাড়ায় নেয় না। এমনিতে পড়ে থাকে। কিন্তু চালককে বেতন দিতে হয়। এজন্যই ভাড়ায় তিনি ব্যবহার করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসের হাটের চমকা বাজার এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি রাজনৈতিক সভায় নেওয়া হয়। সেখানে রায়পুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাস্টারের জামাই মো. মুরাদের বাড়িতে ইসলামী আন্দোলনের সভা ছিল। সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সটি ওই বাড়িতে ছিল।

এই দিকে বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, রোগীদের সেবা দেওয়া ছাড়া কোনোভাবেই অন্য কাজে অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করা যাবে না। চেয়ারম্যান রাজনৈতিক কাজে কেন ব্যবহার করেছেন? এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব প্রাণ গোবিন্দ দাস বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি ইউনিয়নের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় থাকার কথা। চেয়ারম্যান এটা দিয়ে অন্য কোথাও গেছে কিনা, সেটা আমার জানা নেই।

ইউপি চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অনুমতি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করেছি। অ্যাম্বুলেন্স কেউ ভাড়ায় নেন না। কিন্তু চালককে ভাড়া দিতে হয়। এই জন্যই অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়ায় আমি ব্যবহার করেছি। অন্য কোনো গাড়ি নিলেও আমাকে ভাড়া দিতে হতো।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, চেয়ারম্যানকে ডেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ইউনিয়নে উচ্চ শব্দে গান-বাজনা করলে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ। তখন বিষয়টি সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ।


আরো পড়ুন