• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত নাটক ‘নন্দিত বন্দী’

/ ১৩৭ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২

বিনোদন ডেস্কঃ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারকে বিশ্বাস ঘাতকের দল নির্মমভাবে হত্যা করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। ঘাতক দখলদার দেশে কারফিউ জারি করে। পিতার বিয়োগে বোবা কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা জাতি। এই নির্মম খবর শুনে জাতির পিতার আদর্শের বীরজনতা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাদেরই একজন বিশ্বজিৎ নন্দী। জাতির পিতার প্রতি বিশ্বজিতের জীবন উৎসর্গকৃত ভালোবাসা ও প্রতিরোধের সত্য ঘটনা বলা হয়েছে ‘নন্দিত বন্দী’ নাটকে।

এটি রচনা করেছেন ফজলুল হক আকাশ এবং প্রযোজনা করেছেন আব্দুল্যাহ আল মামুন। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নরেশ ভূঁইয়া, সমু চৌধুরী, শতাব্দী ওয়াদুদ, নয়ন চৌধুরী, শিল্পী সরকার অপু, দীপা খন্দকার, খলিলুর রহমান কাদেরী, মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

ঘাতক সরকার যখন রাজাকারদের বগলতলায় নিয়ে মুজিবের নাম মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তখন বিশ্বজিতরা ১৯৭৬ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন স্বরূপ ‘শহীদ মুজিব দিবস পালন করার উদ্যোগ নেয়। সারাদেশে ডাক দেওয়া হয় হরতালের। বিশ্বজিতের ছয় সদস্যের দল মুক্তাগাছা ও মধুপুর এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। হরতাল পালনকে কেন্দ্র করে শুরু হয় মরণ যুদ্ধ।

সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা বিশ্বজিৎ নন্দী ১৯৭৬ সালের ১৪ আগস্ট আহত অবস্থায় সেনা সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তার হন। ১৯৭৭ সালের ১৮ মে সামরিক আদালতে তার ফাঁসির আদেশ হয়। সেই থেকে প্রায় চৌদ্দ বছর এই বীরকে কাটাতে হয় বন্দী জীবন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আশির দশকে বিশ্বজিৎ নন্দীসহ সকল প্রতিরোধ যোদ্ধা কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। শেখ হাসিনার আন্দোলনের চাপের মুখে স্বৈর শাসক ১৯৮৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই বীরকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন।

তিনি আজো আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বজিত নন্দী ও তার সহযোগী সকল বিপ্লবীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাটক ‘নন্দিত বন্দী’। প্রচার হবে শনিবার (২০ আগস্ট) রাত ৯টায়।


আরো পড়ুন