• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন

কুড়োঘরে থাকে জয়নউদ্দিনের পরিবার-জোটেনি দূর্যোগ সহনীয় ঘর,ভাতা-কার্ড!!

/ ৪৩০ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯

ডিমলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিনখড়িবাড়ী গ্রামের মৃত তজিম উদ্দিনের ছেলে জয়নউদ্দিন(৬৫) তিনি দীর্ষ এক বছর সাত মাস যাবত অসুস্থ অবস্থায় মানবতর জীবনযাপন করছেন।
পরিবারের হাল ধরার কোন পুত্র সন্তান নেই আছে শুধু তিন মেয়ে। বড় মেয়ে মৌসুমি আক্তারের অনেক আগেই বিয়ে হয়েছে টাংগাইল জেলায়।মেঝো মেয়ে সোমা আক্তার রেমি এবছর জটুয়াখাতা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীর ছাত্রী,কোন উপবৃত্তি পায়না।ছোট মেয়ে খুশি আক্তার মুক্তা নিকেতন সঃপ্রঃবিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী।

পরিবারে আয়ের উৎস একমাত্র তার স্ত্রী মেরিনা বেগম (৪৫)। তিনি বলেন, প্রথমে ঢাকা শহরে পোশাক কারখানায় কাজ করতে গেছি এখন রোগী স্বামীর পরিচর্যা ও মেয়েদের দেখাশুনার জন্য শহরে ছেড়ে নিজ গ্রামে অন্যের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করছি।একটি কুঁড়েঘরে অতিকষ্টে নুন-পান্তা খেয়ে কোন রকম দিন যায় ।আমাদের দেখার কেউ নাই। জয়নউদ্দিন বলেন, প্যারালাইজড হবার পরে যা জমি ছিল বিক্রি করে চিকিৎষার খরচ করে ৫ শতক ভিটাই আছে ইউ,পি চেয়ারম্যান আমার নামে কোন ভাতা কার্ড করে দেয়নি,কার্ড করতে নাকি টাকা লাগে। মেরিনা বেগম আরো বললেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের ঘরের জন্য ইউ,পি চেয়ারম্যান ময়নুল হকে চার হাজার টাকা দিছি। কিন্তু আরও ছয় হাজার টাকা দিতে না পাড়ার কারণে আমাদের নামে ঘর দেয়নি।

টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে ২৫টি ঘর দেয়া হয়েছে। তালিকা তৈরি করা হচ্ছে আগামীতে আরও ঘর দেয়ার জন্য।
টাকার গ্রহনের বিষয়টি-উত্তরে তিনি বলেন, কেউ টাকা নিয়েছে কি-না আমার জানা নেই। জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী মেরিনা বেগমকে আমি চিনি না। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ঘুষ নিয়েছে বলে অভিযোগ পাননি। তাছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে কোনো ঘর বরাদ্দ দিতে পারেন না। উপজেলা প্রশাসন তদন্ত করে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। নতুন করে ঘরের কোনো বরাদ্দ তার দফতরে নেই।


আরো পড়ুন