• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম পটিয়ায় মহাসড়কেে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

/ ৩০৫ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো”চিফ মরিয়ম খানম:-
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক পটিয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তিনটি মেশিন নিয়ে গতকাল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে কলেজ বাজার হাইওয়ে পুলিশ রাস্তায় নেমেছে। এসব মেশিনের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। এসব মেশিন ব্যবহার করে মাতাল চালক, গাড়ির গতি পরীক্ষা এবং গাড়ি ও চালকের ভুয়া কাগজপত্র তাৎক্ষণিক শনাক্ত করা যাবে।

এ জন্য হাইওয়ে পুলিশকে অ্যালকোহল ডিটেক্টর, স্পিড গান ও গাড়ির কাগজপত্র সহজে যাচাইয়ের জন্য আরএফআইডি নামের মেশিন দেয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ এসব ব্যবহারে গতকাল থেকে রাস্তায় নেমেছে।

গতকাল সকালে প্রথম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার মনসা বাদামতল এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে একটি তল্লাশি চৌকির মাধ্যমে এসব মেশিনের কার্যক্রম শুরু করে। এরমধ্যে যদি কোন গাড়ি চালক মাদকাসক্তা হন, তা ৪ সেকেন্ডেই অ্যালকোহল ডিটেক্টরের মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। গাড়ির গতি মাপার জন্য ব্যবহার করছে স্পিড গান। এছাড়া কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য ববহার করা হবে আরএফআইডি নামের মেশিন।

এসব মেশিনের মাধ্যমে পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা, দুর্ঘটনারোধ ও যাত্রীসেবার মান সুনিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ওসি বিমল চন্দ্র ভৌমিক। হাইওয়ে পুলিশ ও গাড়ি চালক সূত্রে জানা গেছে, মাদকাসক্ত চালকের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। এখন থেকে ৪ সেকেন্ড জানা যাবে চালক মাদকাসক্ত কিনা। কোন গাড়ি লিমিট অতিক্রম করে গাড়ি চালাচ্ছে কিনা স্পিড গানের মাধ্যমে তাও জানা যাবে ৪ সেকেন্ডে। আর আরএফআইডি নামের মেশিনের সাহায্যে মাত্র দুই মিনিটে জানা যাবে গাড়ির কাগজপত্র ভুয়া নাকি সঠিক এবং কাগজপত্রের বর্তমান হাল কি।প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা ও প্রতিদিন বিকেলে হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।

পটিয়া-ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ওসি বিমল চন্দ্র ভৌমিক জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়াতে যাতে কোন ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য হাইওয়ে পুলিশ বিশেষভাবে নজরদারিতে রেখেছে। মহাসড়কে শৃঙ্খলা, দুর্ঘটনারোধ ও যাত্রীসেবার মান নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করবে। এতে হাইওয়ে পুলিশের কোন সদস্যের অবহেলা থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে সচেতন মহল মনে করেন এতে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি হওয়ার সম্ভাবনা পাশাপাশি চাঁদাাাবাজি করবে পুলিশ এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার ও ট্রাফিক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা সুদৃষ্টি কামনা করেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।


আরো পড়ুন