গতকাল ৫ আগষ্ট রোজ শুক্রবার রাত ১১ টায় মালদ্বীপের রাজধানী মালে মাবিয়া মাগু হোটেল ৬৬ এ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান আনিসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মালদ্বীপ শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব দুলাল মাদবর বলেন জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল তৎকালীন সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণের এক উজ্জল নক্ষত্র ছিলেন। দেশে আধুনিক ফুটবলের ধারণা তিনিই নিয়ে আসেন।
তাঁর চেষ্টায় আবাহনীর মতো সফল ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল হোসেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পেরে মোটোফোনে আমাদের প্রতিনিধির কাছে বলেন,দেশের স্বাধীনতাসহ অন্যান্য অর্জনে শেখ কামালসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের অনেক অবদান রয়েছে ।
সহসভাপতি শাহজালাল সিকদার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজ বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েট শেখ কামাল ছায়ানটসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং নিজেও সেতার বাজাতেন। মহন মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যাবসায়ী নুরে আলম রিন্টু বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার মাস।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিরা শেখ কামালসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করেছিলো,পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে শেখ কামাল সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল সদস্যের রূহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মালদ্বীপ মদিনার জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক প্রবাসী সাংবাদিক মোঃ আল আমীন, উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র সহ সভাপতি হাজী মোঃ সাদেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া, অর্থ সম্পাদক গাজী জাহিদ সহ অর্থ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন মুক্তিযুদ্ধের সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ অলিউল্লাহ্, সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, আবু রাসেল হাওলাদার সম্মানিত সদস্য মোঃ সোহেল সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন,শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উল্লেখ্য, শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) পাস করেন। যুদ্ধের পর তিনি সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান। সেখান থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ছায়ানট থেকে সেতার শিখেন।
জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ক্রীড়া সংগঠক, সংস্কৃতি সংগঠক ও সমাজ চিন্তক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল