জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ সারা দেশে, জানা গেছে যে শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে গাড়ি না চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিকগণ।

বেলায়েত হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে রাতে পেট্রোল পাম্পগুলো তেল দেয়নি। সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এত দাম দিয়ে জ্বালানি কিনে একই ভাড়ায় আমাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব না। কারণ তেলের দাম বাড়ার ফলে যা ভাড়া আসবে তার সব টাকা পেট্রোল পাম্পে দিয়ে আসতে হবে। এতে করে শ্রমিকের বেতনও হবে না, গাড়ির কিস্তিও হবে না। এই কারণে গাড়ি না চালানোটাই ভালো।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, শনিবার সকাল থেকে আমরা বাস চালাব না। রাতে তো এমনিতেই নগরীতে বাস চলাচল বন্ধ থাকে।
সকালে থেকে আমরা গাড়ি চালাচ্ছি না।

তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়িয়েছে কিন্তু বাস ভাড়া বৃদ্ধির কোনো ঘোষণা দেয়নি সরকার। ফলে সকাল থেকে গাড়ির চালক ও হেলপার যদি যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে যায়, তখন যাত্রীদের সঙ্গে মারামারি, হাঙ্গামা হবে, এর চেয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা ভালো। তাই চট্টগ্রাম নগরীতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এদিকে সরকার থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয় পেট্রোল পাম্প মালিকরা। এ নিয়ে গাড়ির মালিকদের সঙ্গে পেট্রোল পাম্পের কর্মীদের বাগবিতণ্ডার খবর পাওয়া গেছে।

এতদিন কেরোসিন ও ডিজেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ৮৬ টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছিল। শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য ভোক্তা পর্যায়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, লিটারপ্রতি অকটেন ১৩৫ টাকা ও লিটারপ্রতি পেট্রোল ১৩০ টাকা হবে।