• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন

সীতাকুণ্ডে ১৭৫ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

মোহাম্মদ ফিরোজ খান, নিজস্ব পেরিবেদক / ১১৫ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২

চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলীমপুর ও আলীনগরে অভিযান চালিয়ে ১৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। এর প্রতিবাদে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোডসহ আলিনগরের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন অত্র এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণ ও অবরোধ করেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে বিকাল ৫টা থেকে দু’ঘণ্টার অবরোধে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একপর্যায়ে ওই এলাকায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান ও উচ্ছেদ বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেন তারা। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ ও পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আবারও মহাসড়ক অবরোধ করব।

স্থানীয়রা জানায়, বিনা নোটিশে আমাদের এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে জনজীবন ব্যাহত করছে প্রশাসন। বেশিরভাগ এলাকায় পানি সরবরাহও বন্ধ রাখা হয়। ফলে আমরা চরম দুর্ভোগে পড়েছি। এর মধ্যে আজ আবার ১৭৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন তারা। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা ও পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আবারও মহাসড়ক অবরোধ করব।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, আজকের উচ্ছেদ অভিযানে ১৭৫ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৭০০ একর পাহাড়ি জমি উদ্ধার করা হয়েছে। উচ্ছেদের সময় আলীনগরে সরকারি জমিতে ইয়াসিনের নির্মিত অফিস, ঘর এবং তার বিশেষ টর্চার সেল গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা জায়গায় জঙ্গল সলিমপুরের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের আওতায় বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা অফিস, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, স্পোর্টস ভিলেজ, সাফারি ও ইকোপার্ক, র‍্যাব ও পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পের প্রস্তাবিত স্থাপনার সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। সরকারের গৃহীত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বাইরে আশপাশের পাহাড়ের পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আলীনগরের বাসিন্দারা আগেও অভিযানের কথা শুনলে সড়ক অবরোধসহ নানাভাবে অভিযান ব্যাহত করত। এবারও তারা একই আচরণ করছে। তারা সড়ক অবরোধ করে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগসহ অভিযান বন্ধের বিভিন্ন দাবি জানান। এ সময় সড়কে যানজট তৈরি হয়। পরবর্তীতে দু’ঘণ্টা পর তারা চলে যান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন প্রমুখ।


আরো পড়ুন