• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন

ভয়াবহ কুমিল্লা প্রেসক্লাব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থীর বাড়িতে গুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৬২ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২

এতোদিন কুমিল্লা প্রেসক্লাবকে ঘিরে চলছিলো নিন্দার প্রকাশ ফেসবুকের বিভিন্ন সাংবাদিকদের ওয়ালে। এখন সবাই বুঝতে বাকি নেই যে কুমিল্লা প্রেসক্লাবেও চলছে লুংড়া রাজনীতি।

কুমিল্লা প্রেসক্লাবে ২০০৫ সালের সদস্য তালিকায় ছিলো ৪৬ পরে ২০১১ সালে হয় ১০৪ কয়েকদিন আগে সদস্য তালিকা প্রকাশ হলো ৫৬ সদস্য দিয়ে। এই নিয়ে কুমিল্লার সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে অনেকে সত্য বলতেও পারছেনা প্রাণনাশের হুকি আছে বলে আবার কেউ কেউ কিছুটা নিজের গা বাচিয়ে গণমাধ্যমে ২/৪ লাইন লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।

বাতিল করা সদস্যদের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানা যায়।

যাদেরকে প্রেসক্লাবের সদস্য থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ আওয়ামিলীগ বিরোধী আর বর্তমানে যারা সদস্য পদ নিয়ে আছেন তারা সরকার দলীয় আবার অনেকে আওয়ামিলীগের বড় বড় পদেও আছেন আবার যাদেরকে বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকের রাজনৈতিক ব্যানারও রাস্তায় রাস্তায় লাগানো দেখা যায়, সংবাদ মাধ্যম যে রাজনৈতিক ভাবে বিক্রিত এটা কুমিল্লা প্রেসক্লাবের চিত্র দেখলেও বুঝার আর বাকি থাকেনা।

কুমিল্লা প্রেসক্লাবের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী ইনতিয়াজ আহম্মেদ জিতুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ এর ঘটনা প্রমাণ করে প্রেসক্লাব জুড়ে চলছে রাজনীতি।

জানা যায় যে দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক ও প্রকাশক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতুর (৩৫) বাসায় প্রবেশ করে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা বাড়ির বাইরে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। রবিবার (২৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ হামলা ও হুমকি প্রদানের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ইমতিয়াজ আহমেদ জিতুর নগরীর কাশারীপট্টি এলাকার বাসায় অজ্ঞাতনামা ৯ জন লোক ৩ টি মোটরসাইকেলে করে বাসায় প্রবেশ করে। ওই সময় জিতু কুমিল্লা প্রেসক্লাবে অবস্থান করায় তাকে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করে বাসার বাইরে এসে কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি করে সন্ত্রাসীরা মোটর সাইকেল যোগে চলে যায়।

এ বিষয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু জানান, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের নির্বাচনে আমি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি। প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াঁনোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। রবিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আমি প্রেসক্লাবে ছিলাম। মুঠোফোনে হামলা ও গুলিবর্ষণের কথা শুনে বাসায় আসি। পরে পরিবার ও স্থানীয়দের কাছে জানতে পারলাম ৩ টি মোটরসাইকেল যোগে ৯ জন বাসায় এসে আমাকে না পেয়ে বিশ্রি ভাষায় গালাগালি করে বাইরে এসে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে চলে যায়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিরাপত্তা জোরদার করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিক পরিদর্শন করেছি। বিষয়টির তদন্ত চলছে। পুলিশ টহল অব্যাহত রয়েছে।


আরো পড়ুন