• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

বদলগাছীতে- পঞ্চম শ্রেণির শিশু ধর্ষণচেষ্টার -৩০ হাজারে রফাদফার অভিযোগ 

রহমতউল্লাহ আশিক, নওগাঁ বাদলগাছি প্রতিনিধি / ১০৪ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আশরাফুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ করা হলেও সেটি প্রত্যাহার করে ৩০ হাজার টাকায় রফাদফা করে প্রভাবশালী মহল। কিন্তু ভুক্তভোগীকে মাত্র তিন হাজার টাকা দিয়ে তার বাবা-মাসহ ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৪ জুলাই বিকেলে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরছিল। এ সময় মথুরাপুর ইউনিয়নের চাপাইনগর গ্রামের আশরাফুল শিশুটিকে টেনে রাস্তার পাশে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আশরাফুল পালিয়ে যান।
বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা দুই দফায় সালিশ বৈঠকে বসে। কিন্তু কোনো সুরাহা না হওয়ায় ভুক্তভোগীর বাবা ১৭ জুলাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেয় ভুক্তভোগী পরিবার।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর বাবার বলেন, থানায় অভিযোগ করেছিলাম। তবে মামলা চালাতে অনেক টাকা খরচ করতে হয় বলে শুনেছি। তাই ২০ জুলাই অভিযোগটি তুলে নেই। পরে তিন হাজার টাকা দেওয়া হয় আমাদের।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আশরাফুলের স্ত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার স্বামী একটা ভুল করে ফেলেছে। সেটা আমি ২০ হাজার টাকায় মীমাংসা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মীমাংসা না করে তারা থানায় অভিযোগ করেন। তখন আমি আরও বেশি টাকা দিয়েই মীমাংসা করি। তবে কোথায় কাকে টাকা দিয়েছি সেটা আমি বলবো না।
এ বিষয়ে মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানার বলেন, আশরাফুলের স্ত্রী স্থানীয় সাংবাদিক হাফিজার রহমান নামের একজনকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার কথা আমাকে মোবাইলে জানিয়েছিল। কিন্তু আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারবো না।
আপসের বিষয়টি অস্বীকার করে সাংবাদিক হাফিজার রহমান বলেন, শিশুটির পরিবার আমার আত্মীয়। তার বাবা-মা ঢাকায় চাকরি করেন। মেয়েটি গ্রামেই পড়াশুনা করে। ঈদের ছুটিতে তারা বাড়িতে এসেছিল। এসব গুজবের কারণে ছুটি শেষে শিশুটিকে নিয়ে তারা ঢাকায় চলে গেছেন। তবে এখানে আপসের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। শুনেছি ভুক্তভোগী পরিবারটি ঢাকায় চলে গেছে। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো পড়ুন