• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন

ছনকা-বরাইদ ঘাটে ব্রীজের অভাবে ২০ গ্রাম ভোগান্তির শিকার “

/ ২৬৯ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯

এম রাসেল হোসাইন,স্টাফ রিপোর্টারঃ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর উপর সাভার হয়ে ছনকা- বরাইদ ঘাটে সেতুর অভাবে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন ২০ গ্রামের মানুষ।স্বাধীনতার ৪৮ বছরে পার হয়ে গেলেও আজও একটি ব্রিজের অভাবে আধুনিতার ছোয়া থেকে বঞ্চিত ২০ গ্রামের মানুষ।তাদের সকলের এখন একটিই দাবী “বরাইদ ঘাটে ব্রীজ চাই”

নদী পার হওয়ার জন্য একমাত্র ভরসা একটি নৌকা।কিন্তু সেই নৌকার জন্য রৌদ্রের মধ্যে বসে অপেক্ষার প্রহর গুনেন অসুস্থ রোগী,শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

ব্রীজের অভাবে যোগাযোগের জন্য মাইলের পর মাইল পায়ে হেটেই পথ পার করতে হয় তাদের। ব্রীজের অভাবে মোলিক চাহিদা পূরণেও পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।কষ্টার্জিত উতপাদিত কৃষি পন্য বিক্রি করে ন্যয্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

মোল্লাপাড়ার অসুস্থ জব্বার মিঞা দুখের সাথে প্রতিবেদক কে বলেন,আপনাগো কি আর কমু আপনেরা তো সব কিছু দেখতাছেন।আমি অসুখ ঠিক মত হাটতে পাড়ি না।কিন্তু তারপরেও আমার পায়ে আইটাই আউলাদ ডাঃ এর কাছে যাওন নাগবো।বাড়ি থিকা যত আগেই আহি না কেন ঘাটে আইয়া রোইদের মৈদ্দে বইয়া থাকন নাগবোই।একটি ব্রীজ নাই বলে আমাগো পা ই আমাগো নিগা সিএনজি। বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ফয়জুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ভোক্তভোগি এক শিক্ষার্থী ফাহিমা (১২) বলেন,প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে এসে নৌকার অপেক্ষায় বসে থাকতে হয় নদীর ধারে।নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে পৌছানোর জন্য বের হতে হয় কমপক্ষে ১.৫-২ ঘন্টা আগে। নাহলে বিদ্যালয়ে যথাসময়ে গিয়ে পৌছানো যায় না।
শিক্ষার্থী আরও বলেন,এখন নদীতে পানি অনেক কম। এখন নৌকায় পার হতে ১৫-২০ মিনিট লাগে।কিন্তু নদীতে যখন পানি আসে তখন অইপার যেতে প্রায় ১ ঘন্টা লাগে।তখন আর এপারের শিক্ষার্থীদের নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।শুধু তাই নয় একটু বৃষ্টি হলেও নৌকা পারাপার বন্ধ থাকে তখন এপারের শিক্ষার্থীদের যাওয়া সম্ভব হয় না বিদ্যালয়ে।বঞ্চিত হয় অন্যতম মোলিক চাহিদা শিক্ষা থেকে।

নদী পারে অপেক্ষাকৃত দৌলতপুর উপজেলার ধামসর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ দরবেশ আলি (৪৫) বলেন,আমি নিয়মিত এই ঘাট দিয়ে যাতায়েত করি।সেতু না থাকায় নিয়মিতই এসে নদীর পারে বসে নৌকার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকি।

এছাড়াও সাভার হয়ে ছনকা-বরাইদ ঘাটে সেতু নির্মাণ হলে পাবনা,সিরাজগঞ্জের সাথে যোগাযোগ ব্যাবস্থা উন্নত হবে। হারানো সমৃদ্ধি ফিরে ফিরে পাবে সাটুরিয়ার তাত শিল্প।সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার সাথে দুরুত্ব কমে যাবে ঢাকার।অল্প সময়েই পাবনা সিরাজগঞ্জ জেলার মানুষ এই সেতু ব্যাবহার করে ঢাকা যাতায়েত করতে পারবে।উন্নয়ন হবে অই অঞ্চলের ৪ উপজেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষের।

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলার ১নং বরাইদ ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন,সাভার হয়ে ছনকা-ঘাটে সেতু এখন মানুষের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে।ইউনিয়ন বাসীর প্রানের দাবিতে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছনকা-বরাইদ ঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি।তার পরিপেক্ষিতে কতৃপক্ষ কয়েক দফা সেতু নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য ছনকা বরাইদ ঘাট পর্যবেক্ষন করেছে।কয়েকদিন আগে বুয়েটের পর্যবেক্ষক টিম এসে বরাইদ ঘাট পর্যবেক্ষন করে গেছেন।আমি আশা বাদী খুব শীঘ্রই ব্রীজের কাজ শুরু হবে।


আরো পড়ুন