• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

বাকলিয়া জুয়াড়ি আজিজ্যার নিয়ন্ত্রণে চলছে অটোরিক্সার টোকেন বাণিজ্য, কামাচ্ছে কাড়িকাড়ি টাকা।

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৫১৮ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২

বহু লোকের সমাগম, অসংখ্য কন্ঠের আহাজারি, দিক-বেদিক ছোটাছুটি! মৃত্যুর শেষ আর্তনাদ! নিহতের রক্তাক্ত নিথর দেহ!গত বুধবার ১/৬/২০২২ ইং সকাল আনুমানিক ঘটিকায় চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া খাজা হোটেল এলাকায় এই ছিল পরিণতি। এটি নতুন কোন ঘটনা নয়, অবৈধ অটোরিকশা, গ্রাম সিএনজি, টমটম দ্বারা প্রতিনিয়ত একের পর এক মৃত্যু ও দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটলেও এখনও বন্ধ হয়নি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গ্রাম সিএনজি টমটম চলাচল। বাকলিয়া থানা পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলীয় রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে বিএনপি জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাস ক্যাডার প্রকাশ জুয়াড়ি রিকশা আজিজ্যার টোকেন দ্বারায় চলছে বেপোরোয়া অবৈধ অটোরিকশা। কামাচ্ছে কাড়িকাড়ি টাকা ,কে সেই আজিজ্যা কখনো জুয়াড়ি, কখনো সুদখোর , কখনো বা এলাকার ত্রাস নামে পরিচিত রিক্সা আজিজ্যা, একাধিক মামলার আসামি আজিজ্যা, শত অপরাধের অপরাধী আজিজ্যা। তার অপকর্মের শেষ কোথায়? গত কিছুদিন আগে ঐ এলাকায় অটো রিকশার ধাক্কায় ওমর ফারুক নামের ৬ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হয়েছে। এর পরপরই ঘন্টা দুই’য়ের ব্যবধানে একই স্থানে দেলোয়ার হোসেন নামের এক রিকশা চালকের অপ্রতিরোধ্য গতিতে আহত হন ফাতেমা বেগম (৩৭)। যদিও পরে রিকশাচালক তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সত্যতা স্বীকার করে পশ্চিম বাকলিয়া বগারবিল ত্রাস টোকেন বাণিজ্যের গডফাদার দেলোয়ার ও রিক্সা আজিজ্যা বলেন, রিকশার গতি বেশি থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

এরপর আসতে থাকে একের পর এক অভিযোগ।কান্না জড়ানো কণ্ঠে নিজের সাথে ঘটানা দুর্ঘটনার বর্ণনা দিলেন বাকলিয়ায় বসবাসরত স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ সালাউদ্দিন। নতুন মসজিদসংলগ্ন তার একটি ছোট মুদির দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো সে দোকানের মালামাল সাজাচ্ছিল এমন সময় অটোরিকশা তার গায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, সালাউদ্দিন। বগারবিল থেকে দিদার মার্কেট অত্র এলাকার প্রতিনিয়ত করছে দুর্ঘটনা ,তখন এলাকাবাসী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। এছাড়া মঙ্গলবারেও অটোরিকশা জনিত আরও পাঁচটি দুর্ঘটনার কথা জানা গেছে। শিশুটি নিহত হলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তখনও অটোরিকশা চলছে। ঘটনাস্থলে বউবাজার খাজা রোড সংলগ্ন দুটি পুলিশের গাড়ি থাকাকালীনও তাদের সামনেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। এ বিষয়ে স্পটে দাঁড়িয়ে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল হক কে একাধিক বার আমাদের প্রতিবেদক মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয়রা জানান, একটি জীবন্ত লাশ ও একাধিক দুর্ঘটনার পর আমরা মনে করেছিলাম অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে অটোরিকশার সংখ্যা আরো বেড়ে গেছে। এরপর সচেতন নাগরিকরা চাক্তাই নতুন মসজিদ সংলগ্নে জুম্মা নামাজের পর মানববন্ধন করে।তাতেও কাজ হলো না। চলছে তো চলছেই। অত্র এলাকার সচেতন এবং সাধারন নাগরিকরা বলছেন এর পেছনে আদৌ কারা মদদ দিচ্ছে আমরা দেখতে চাই।

জনতার এমন প্রশ্নে অনুসন্ধানে নামে এক ঝাঁক তরুণ সাংবাদিক পত্রিকা ও অনলাইনে । গর্ত খুঁড়তে গিয়ে বের হয়ে আসে থলের বিড়াল! জানা যায়, দেশের উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্তেও ক্ষমতার দাপট চাঁদাবাজির উপর নির্ভর করে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা।বাকলিয়া,খুলসি, হালিশহর, পাহাড়তলী,আকবরশাহ ও বায়েজিদের গ্রাম সিএনজি, টমটম অটোরিকশা থেকে মাসে কোটি কোটি টাকার টোকেন বাণিজ্য হয়। এই টাকা রদবদল হয় একাধিক হাত থেকে। প্রথমে রিকশা গ্রাম সিএনজি টমটম চালক হতে মালিক পক্ষ, মালিক থেকে লাইনম্যান, লাইনম্যান থেকে কথিত নামধারী রাজনৈতিক নেতা, সব শেষে থানায় গিয়ে পৌছায় এই টাকা। রমরমা এই টোকেন বাণিজ্যে ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন গত ১০মে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ সার্জেন্ট এর উপর অতর্কিত হামলায় আহত করার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মোঃ দেলোয়ার হোসেন। যার মামলা নং ০৬, ধারা-১৪৩/৩৩২/৩৫৩/৫০৬ দন্ডবিধি। তার নেতৃত্বে বাকলিয়াসহ প্রায় ৬ হাজার রিকশা চলাচল করে বলে জানা যায়। জনগণের তথ্য মতে সে হিসেবে বাকলিয়া জুয়াড়ি আজিজ্যা ও দেলোয়ারের মোট অটো রিকশা রয়েছে দুই হাজার নয়’শ টি। প্রতি গাড়ি হতে থানায় চাঁদা দিতে হয় স্পটগুলো হল-হালিশহর,আকবরশাহ, পাহাড়তলী,ডাবলমুরীং,খুলসী, চাঁদগাও আর বাকলিয়া চলে খাজা হোটেল থেকে আন্দরকিল্লা, টেরিবাজার, কোতোয়ালী থানা, বক্সিরহাট, খাতুনগঞ্জ, কোরবানীগঞ্জ, মাস্টারপুল, দেওয়ান বাজার, দিদার মার্কেট ও চকবাজার, চকবাজার থেকে রাহাত্তারপুল, কালামিয়া বাজার, থেকে বর্তমান ১৮ ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাড়িসংলগ্ন পর্যন্ত প্রতিটি অটোরিকশার মূল কেন্দ্র প্রায় খাজা হোটেল থেকে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সদ্যক্রয় করা প্রতিটি বাকলিয়া’য় অটোরিকশায়
বিএনপির ক্যাডার জুয়াড়ি আজিজ্যার স্বাক্ষরিত AJ B kস্টিকার লাগিয়ে দিলে সেটি চলাচলের জন্য বৈধ হয়ে যায়! রিকশা আজিজ্যা ও একাধিক মামলার আসামি বগারবিল এর দেলোয়ার, গ্যারেজ মালিক ফাহিম ও দেলোয়ার কালামিয়া বাজারের, চাঁদা নেন প্রতি অটোরিকশা থেকে ৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতিমাসে এসব গাড়িকে আরো দিতে হয় আড়াই হাজার টাকা করে। এসব রিকশা চালাতে টোকেনের দরকার হয়, যা রিকশার পেছনে বা সামনে লাগানো থাকে। প্রতিটি ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য মাসিক দুই হাজার পাঁচশ তিন হাজার টাকার বিনিময়ে এসব টোকেন মেলে আর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার গ্রাম সিএনজি তে প্রথমে ভর্তি হতে কিশোর-কিশোরীদেরকে দিতে হয় ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এরপরে মাসিক চাঁদা তো আছেই। রিকশাচালক ও গ্যারেজের মালিকেরা জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি ‘টোকেন ব্যবসা’ পরিচালনা করেন। প্রতি মাসে গ্যারেজের মালিকেরা চালকদের থেকে টাকা নিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দেন। এর বিনিময়ে নির্দিষ্ট ধরনের টোকেন আসে গ্যারেজে।

বাকলিয়ার বৌবাজার বিভিন্ন ব্লকে ঘুরে দেখা যায়, একটু পরপরই রিকশার গ্যারেজ। রাস্তার ওপর এবং ফাঁকা জায়গা দখল করেই এসব গ্যারেজ দেওয়া হয়েছে।তবে অন্যান এলাকার চেয়ে বৌ বাজার এলাকায় গ্যারেজের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। এসব গ্যারেজে ব্যাটারিচালিত রিকশার পাশাপাশি প্যাডেলচালিত রিকশাও আছে। তবে ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। বাকলিয়া বউবাজার ও বগারবিল ১০০/১৫০ গ্যারেজ রয়েছে অত্র গ্যারেজে রয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। বাকলিয়া সৈয়দ শাহ্ রোডে অবস্থিত বাকলিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র অত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রের রয়েছেন অসাধু কিছু কর্মচারী কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অবৈধ বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেকটা অটো রিক্সা গ্যারেজে,

বাকলিয়া এলাকার প্রভাবশালী মোঃ মাসুম বলেন, “পুলিশ যে চাঁদা লর ইবা আত্তে কিল্লাই অহন পরের, দশ জনে-তুই ন জাননা। আই থানা-থোনার মারে ন চুদির। কালিয়াত্তুন বাইজ্জাই তুইজ্জাই ভাঙ্গি দিওম।”এর বউ বাজার কুমিল্লা হোটেলর সংলগ্ন মুসা গ্যারেজে চলছে প্রতিনিয়ত মাদক ও জুয়ার আসর বলছেন এলাকাবাসী, তাছাড়া অএ বউবাজার ও বগারবিল এলাকার অধিকাংশ নিষিদ্ধ অটোরিকশা গ্যারেজে রাত্রিকালীন প্রত্যেকদিন রাত্রে চলে জুয়ার আসর ও মাদকের আসর, তাছাড়া বায়েজিত বউবাজার বগারবিল অধিকাংশ অটোরিকশা গ্রাম সিএনজি টমটম গ্যারেজে চলে মাদকসেবন গাঁজা ফেনসিডিল ইয়াবা পাশাপাশি বসে কাগজের তাশের জুয়া খেলা, পাশাপাশি আইপিএলের জুয়াও চলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন রিকশাচালক বলেন, নতুন ব্রিজ তুলাতুলি কালামিয়া বাজার রাহাত্তারপুল, লিং রোড, শেরশাহ বাংলাবাজার,ট্রাফিক এবং এইমাত্র আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। প্রতি মাসে লাইনম্যানের হাতে আমাদের আড়াই হাজার টাকা দিতে হয়। তার একাধিক প্রমাণ ভিডিওসহ আমাদের অফিসে রয়েছ।

মোঃ খোকন নামের আরেক রিক্সা চালক বলেন, প্রতি মাসে আড়াই হাজার টাকা তো আছেই তার পরও আমাদের প্রতিদিন গাড়ির ব্যাটারি বাবদ আরো দেড়শ টাকা দিতে হয় মালিককে। চাঁদার টাকা কার কাছে দিতে হয় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এই টাকা আমরা বউ বাজার অফিসে দিই, কিন্তু তার নাম জানি না। তিনি অভিযোগ করেন গত ৩০ মে ২০২২ তার গাড়ি তুলাতুলি গলির ভিতরে থাকলে ট্রাফিক পুলিশ সিরাজ জোর করে তার গাড়ি মহাসড়কে নিয়ে গিয়ে মামলা করে দেন। সার্জেন্ট মোঃ আজাদ হোসেন স্বাক্ষরিত যানবাহন আটক করিবার রশিদে কোন টাকার অংক না থাকলেও সিরাজ তাকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা নিয়ে দেখা করতে বলেন। সিরাজ এই রিক্সা চালককে বলেন ১০ টাকা কম হলেও তিনি নিবেন না। অবশ্য তাৎক্ষণিক এ বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসলে সাংবাদিকরা ট্রাফিক সিরাজের মতামত জানতে চান। ট্রাফিক এ বিষয়ে কথা না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

বউ- বাজার ফাতেমা বেগমের উপর রিক্সা তুলে দিয়ে রিক্সা চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আমার কোন দোষ নেই। মালিক কর্তৃপক্ষ গতি বাড়িয়ে দিতে বলেন। গতি বাড়িয়ে দিলে ওই দিন ভাড়া বেশি পাওয়া যায়। নয়তো মালিকপক্ষ সব টাকা নিয়ে যায়। গাড়ি ভাড়া চার’শ এবং ব্যাটারি চার্জ বাবদ দেড়শ টাকা সহ মোট সাড়ে পাঁচ’শ টাকা দিতে হয় মালিক কর্তৃপক্ষকে। অটোরিক্সার তুলনায় প্যান্ডেল চালিত রিক্সা অনেক ভালো, কিন্তু প্যান্ডেল চালিত রিক্সা তো গ্যারেজে নেই, কই পামু।”এই বিষয় নিয়ে রিক্সা আজিজ্যা প্রকাশ জুয়াটি আজিজ্যার সাথে আমাদের প্রতিবেদক কথা বললে তিনি বলেন, শুধু আমি একাই চাঁদাবাজ নয়, এখানে এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক ও আমার সাথে আছে আপনারা লেখালেখি করে কি হবে আসেন আমার রিকশার গ্যারেজে বসে কথা বলি

অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ দেলোয়ার ও আজিজ্যার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নিউজ করে কি হবে, আপনারাও ভালো থাকুন, আমিও ভালো থাকি। বরং আগামীকাল দেখা করুন আমরা কম্প্রোমাইজ করে ফেলি।”

গত ১০ মে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ সার্জেন্ট এর উপর অতর্কিত হামলায় আহত করার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মোঃ দেলোয়ার হোসেন সহ ১৫ জনের নামে মামলা হয় , তার মধ্যে অধিকাংশই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড লিপ্ত , মামলা ৬ নং আসামি আমজাদ হোসেন পিতা মৃত মোহাম্মদ হোসেন , নিরাপদ হাউজিং ১ ডি সি রোড় পশ্চিম বাকলিয়া থানা বাকলিয়া , সে দোলোয়ার কে এক্সেস রোড় শান্তি নগর , বগার বিল এলাকায় লোকাল সমর্থন দেয় যাতে এলাকার কেউ কোন রকম বাঁধা দিতে না পারে , তাঁর জন্য তিনি মাসোয়ারা পায় , আমজাদ হোসেন নিজেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ক্ষমতাশীল লোক দাবি করলেও তার কোন পদ পদবী নেই , আমজাদের ব্যাপারে অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে তার বাড়ি আনোয়ার , বিএনপি ঘরানার এই কথিত ছাত্রলীগ নেতা চট্টগ্রাম শহরের এসে নিজেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করে , আমজাদ শুরুতে তাঁর কয়েক জন লোক দিয়ে ছিনতাই কাজে লিপ্ত ছিল সে সময় আমজাদ একটি রিভলবার নিয়ে গ্রেফতার হয় , দীর্ঘ দিন জেল খেটে বের হয় বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকে এরপর বের করে নতুন রাস্তা, ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের তুলে নিয়ে তাদের টাকা হাতিয়ে নিতো , এসময় ২০০৯/১০ সালে পটিয়া এলাকায় থেকে আনুমানিক সাত লাখ টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হলে জনতা পুলিশে সোপর্দ করে , এসময় তাদের কাছে নগদ টাকা, একটি গাড়ি , হ্যান্ড কাপ , ওয়াকিটকি সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

জেল থেকে বের হয়ে পাড়ি দেয় দুবাই,
দুবাই থাকা কালীন সে নিজেকে জড়াই স্বর্ণ চালান ও সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে আসা বিভিন্ন সিগারেট, ইনজেকশন, যৌন শক্তির স্প্রে ও ঔষধের ব্যাবসায় , সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ও বিভিন্ন মানুষ কে প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা ।

দীর্ঘদিন এই ব্যাবসা চালানো হয় পর যখন বার বার দুবাই আসা যাওয়া নিয়ে সমস্যায় সৃষ্টি হয় তখন পালিয়ে চলে আসে তার বর্তমান এলাকায়। বর্তমান সে এই এলাকার কিশোর গং লিডার তার রয়েছে দুইটা গ্রুপ তাদের দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে চাঁদাবাজি ভূমিদস্যু সহ বিভিন্ন অপকর্ম। বাকলিয়া থানা তার নামে একটি ছিনতাইয়ের মামলায় হয় এক অসহায় পিতার মেয়ের বিবাহর টাকা। তার এই অপকর্মে জড়িত রয়েছে ১২ নং আসামি দূর্জয়।

মামলার ১১ নং আসামি রাসেল প্রকৃত একজন সন্ত্রাসী সে যুবলীগ কর্মী ফরিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি, এছাড়াও ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে শেরশাহ এলাকার একটি সি সি ক্যামরার ফুটেজে দেখা যায় ভারী অস্ত্র হাতে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, যে অস্ত্র পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি ,
তাছাড়াও দেওয়ান বাজার পুল দিদার মার্কেট মৌসুমী এলাকায় তাঁর রয়েছে বিশাল এক বাহীনি তাদের মধ্যে অন্যতম মামলার ১৪/১৫ তম আসামি জানে আলম ও সিকু , তাদের দিয়ে দেওয়ান বাজার মোড় থেকে দিদার মার্কেট যত ভেন গাড়ি সবজি মাছ বিক্রেতা রয়েছে জন প্রতি ২০/৪০ টাকা দৈনিক চাঁদা তোলার কাজ ,
রাসেল অটোরিকশার কাজে দেলোয়ার কে মৌসুমী, শিশু কবরস্থান, দেওয়ান বাজার পুল , দেওয়ান বাজার মোড় ও দিদার মার্কেট এলাকায় যাতে কেউ অবৈধ বলে বাঁধা প্রধান করা না হয় সেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

নয়া মসজিদে বেপরোয়া গতিতে অটোরিকশায় আহত এক বাচ্চা সহ মহিলা(৩৮)

১৯নং বাকলিয়া চাক্তাই নয়া মসজিদে বেপরোয়া অবৈধ অটোরিকশার ধাক্কায় আমেনা বেগম নামে এক বাচ্চা সহ গুরুতর আহত হয়। এটি নতুন কোন ঘটনা নয়। অবৈধ অটোরিকশাসায়
প্রতিনিয়ত একের পর এক মৃত্যুর দুর্ঘটনা ঘটলেও এখনো বন্ধ হয়নি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল। ঘটনাস্থলে শ’খানেক জনতার উপস্থিতি ঘটলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকারে রূপ ধারণ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই বাকলিয়া থানার পুলিশ প্রশাসনের এসআই সোহেল নামের কর্তব্যরত জনতার তোপের মুখে অটো রিক্সার ড্রাইভার কে আটক করতে বাধ্য হয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় জনগণ ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করে বলেন নিরাপদ সড়ক চাই ও অবৈধ অটোরিকশা বন্ধের দাবি জানান। আরো বলেন,বিগত কিছুদিন আগে একটি মানববন্ধন করলে ও এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের নজরদারিতে এই চলছে বেপরোয়া অটোরিকশা ।

এর পিছনে কার হাত আছে উৎসুক জনতার জানতে চাই। অত্র এলাকার সচেতন নাগরিকরা বলছেন মূলত বউ বাজার এলাকায় রয়েছে একাধিক নিষিদ্ধ অটো রিক্সা গ্যারেজ যেখানে সন্ধ্যার পরই শুরু হয় জুয়া ও মাদক এর আড্ডা এসব মাদক পাচার করছেন খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ী কবির যাকে একনামে বউবাজার পুলিশ বিট এলাকায় অত্র এলাকার নাগরিকরা চিনে ইয়াবা কবির নামে , কবিরের কাজ হল সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই তার কয়েকজন কথিত বন্ধু নিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ পিছ ইয়াবা পাচার করা বিভিন্ন অটো রিক্সা গ্যারেজে, কবির নিজেও একজন মাদক সেবনকারী, একাধিকবার মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে গিয়েছিলেন হাজতে এবং বেশ কয়েকবার রিয়েল সেন্টারেও ছিলেন, তার নামে মাদক ও অস্ত্র মামলা আছে একাধিক, সে জামাত-শিবিরের রাজনৈতিকের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং শিবির নেতা হিসেবে এলাকায় খুব সুপরিচিত, অত্র এলাকাবাসি বলছেন একমাত্র ইয়াবা গাঁজা অত্র এলাকায় প্রথম বিক্রি করেন এই কবির, এখনো থেমে নেই এলাকাবাসী আরও জানান কবির শুধু খুচরা ইয়াবা,মাদক পাচার করে ক্ষান্ত নয়, পাশাপাশি কিশোর গ্যাং লিডার। ইয়াবা কবিরের রয়েছে ৩০/৪০ জনের একটি কিশোর গ্যাং টিম যাদেরকে দিয়ে ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড প্রতিনিয়ত দাঙ্গা-হাঙ্গামা জুয়া আরো অনেক দিকে বিভিন্ন অপকর্ম কাজে লিপ্ত থাকে, ১৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাকলিয়ার অধিকাংশ নিষিদ্ধ অটো রিকশার গ্যারেজ থেকে চাঁদার টাকা নিচ্ছেন প্রত্যেক মাসে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকিছু অটোরিকশা চালক এমনটাই জানান আমাদের প্রতিবেদককে, এবং কয়েকজন অটোরিকশা গ্যারেজ মালিক, কবিরের ভয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন পাড়ি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জ।

আমাদের প্রতিবেদক নিষিদ্ধ অটোরিকশা ও টমটম নিয়ে ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান অটোরিকশা বন্ধ করার জন্য আমি বর্তমান মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে বহুবার বলেছি এবং এম’পি শিক্ষামন্ত্রীকে ও তার পাশাপাশি অনেকবারই আমি বাধা সৃষ্টি করেছি, তিনি আরো জানান যেখানে মাদক বিক্রি অথবা সেবন হয় আমি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে আটকিয়ে প্রশাসন হাতে তুলে দেই। উনাকে আমাদের প্রতিবেদক অটোরিক্সার টোকেন বাণিজ্য নিয়ে প্রশ্ন করলে কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া আমাদের প্রতিবেদককে জানান আপনারা সাংবাদিক যেটা সত্য এটা লিখবেন, প্রশাসন আছে আমি কি করবো বলেন। আমি শত চেষ্টা করেও মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও একটি রিকশা বন্ধ করতে পারিনি।

আমাদের প্রতিবেদক বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার ট্রাফিক বিভাগের অক্সিজেন ট্রাফিক ইনচার্জ টিআই’র সাথে অবৈধ নিষিদ্ধ অটোরিকশা ও গ্রাম সিএনজি নিয়ে কথা বললে তিনি প্রথমে আমাদের প্রতিনিধির সাথে এড়িয়ে যেতে চান।

একই সময় ফোনালাপে বাংলাবাজার লিং রোডে যখন একাধিক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু নিয়ে টিআই’র সাথে আমাদের প্রতিবেদক যখন ফোনালাপে বলেন মহামান্য আদালতের নিষিদ্ধ থাকা ও ১০ থেকে ১৫ বছরের কিশোরদের দিয়ে অটো রিকশা ও সিএনজি লাইসেন্সবিহীন তুলে দিচ্ছে টাকার বিনিময় টোকেন বাণিজ্য চাঁদাবাজরা ঠিক তখনই প্রতিনিয়ত হচ্ছে দুর্ঘটনা নেই কিশোর-কিশোরীদের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স’ দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান তিনি এলাকায় কর্মরত আছেন দীর্ঘ পাঁচ মাস। ব্যাটারি রিকশাগুলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্সে এই নিয়ে তিনি উনার ভাষ্যমতে গাড়িগুলোকে আমরা মেইনরোড উঠতে দেই না। এই বৃহত্তর এলাকা কন্ট্রোল করার মত জনবল বা আমাদের কাছে অতিরিক্ত ফোর্স না থাকায় যা আমাদের সাধ্যের মধ্যে নেই। আমি এখানে জয়েন করার পর থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ অবৈধ অটোরিকশা ও অবৈধ গ্রাম সিএনজি আটক করতে সক্ষম হই এবং এই অভিযান চলমান রয়েছে। ছিন্নমূল এলাকায় অটোরিকশার ব্যাপারে আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে এবং ডেবার পাড়, জামতলা এবং লিংক রোডে রুটগুলোতে আমরা বিশেষ কোনো কাজে গেলে আমাদের চোখের সামনে অটোরিকশা পড়লে আমরা এই অটোরিকশার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আমি প্রাক্তন টিআই মঞ্জুর ভাই এর পরে উক্ত ফাঁড়িতে জয়েন করি।

এই বৃহৎ এরিয়া কাভার করতে গেলে আমাদের একজন সার্জেন্টের সাথে একজন বা দুইজন সহযোগিতা প্রয়োজন যেটা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তাই এই বৃহৎ এরিয়া যদি আমরা প্রতিনিয়ত ধরতে যাই তাহলে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ দরকার, আর আপনারা তো জানেন ঢাকায় একটা বিশাল ঘটনা ঘটে গেছে যদি আমরা এমন করতে যাই তাহলে আমরাও আমাদেরকে অপরাধী বানিয়ে দেবে, ও দেখেনা সাজ্জাদকে পাবলিক বিভিন্ন অনৈতিক ঘুষ খাওয়া নিয়ে তাদের অপরাধ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ফেলে এই ঘটনা হিসেবে তিনি ঢাকা সার্জনদের অফিস ভাঙচুর করার ঘটনাটি তুলে ধরেন। আমাদের প্রতিবেদক নামে-বেনামে অটোরিকশা ও গ্রাম সিএনজির সমিতির বিষয়ে জানতে চাইলে, টিআই বলেন এ সমস্ত সমিতি অনেক প্রভাবশালী লোকজন নিয়ন্ত্রণ করেন, আমি একজন সাধারন সার্জেন্ট টি আই এই সমিতি ভাঙতে পারি না । আমি এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে পারছি না আমার যতটুকু বলার আমি বলছি। আমি আমার পক্ষ থেকে অভিযোগ রিকশা ও সিএনজি ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি সত চেষ্টা করার পরেও আমাদের হাত থেকে কিছু অবৈধ গাড়ি চলে যায় এই অবৈধ গাড়ি ছোট বাচ্চা কিংবা কিশোর চালাতে পারবেনা আর ছোট বাচ্চারা তো প্রশ্নই উঠে না ,আর গ্রাম সিএনজি শহর এলাকায় চলতেই পারে না বাইরে চলাচল করলেও নিরাপত্তার স্বার্থে জননিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে


আরো পড়ুন