• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১১ অপরাহ্ন

“আমার স্বামীর কিছু হলে এই দায় কে নেবে?”-সংবাদ সম্মেলনে তাহমিয়া তাসনিম

ইমরান হাসান বুলবুল,ত্রিশাল(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি / ২৩৬ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২
আমার স্বামীর কিছু হলে দায় কে নেবে?

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তিন শিক্ষকের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিভাগটির প্রধান অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীর স্ত্রী তাহমিয়া তাসনিম।

গত শুক্রবার  ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ড. আশরাফের স্ত্রী তাহমিয়া তাসনিম বলেন, বারবার আমার স্বামী ড. আশরাফকে ওই বিভাগের তিন শিক্ষক হেনস্থ করে আসছে। আমার স্বামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলে বিশেষ ক্ষমতায় এই তিন শিক্ষক- মো. নকিবুল হাসান খান, মো. রাকিবুল হাসান এবং মো. আলিম মিয়া বারবার এমন কর্মকান্ড করেও বিচারের বাইরে থেকে যাচ্ছে। একাধিকবার দরজায় তালা লাগিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ঘটনার পরও তারা হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, গত ১৩ জুন ৩ ঘণ্টার উপর তালা লাগিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে ড. আশরাফকে তার কক্ষে আটকিয়ে রেখেছিলেন ওই তিন শিক্ষক। এরপর থেকেই আমার স্বামী অসুস্থ। বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ডাক্তারের পরামর্শে আমরা নেক্সাস হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার স্বামীর কিছু হলে এই দায় কে নেবে।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, রোগীর হার্টের অবস্থা ভালো নয়। প্রেসার হাই। চিন্তা থেকেই এমন হচ্ছে। পেসেন্টের সাথে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর থেকেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। পরবর্তীতে আর বেশ কিছু পরীক্ষার পর রোগীর অবস্থা জানানো যাবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এটি দুঃখজনক ঘটনা। আমি ড. আশরাফ সিদ্দিকীর থেকে একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি। একই সঙ্গে অন্য ৩ শিক্ষকের থেকেও একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা এই ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। দুই অনুষদের ডিন ও সাবেক এক ডিনকে দিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি দ্রæতই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। আর সেটির উপর ভিত্তি করেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এভাবে চলতে থাকলে বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম অচল হয়ে যাবে, যেটি আমরা হতে দিতে পারি না।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে ড. আশরাফ নিরাপত্তা চাইলেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের নিশ্চুপ অবস্থানের কারণ দেখিয়ে ত্রিশাল মডেল থানায় গত বুধবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ড. আশরাফ সিদ্দিকী।


আরো পড়ুন