• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন

কামরাঙ্গীরচরের রাফিউ স্কুলে ছাত্রের জীবন নষ্টের অভিযোগ অভিভাবকদের; সাংবাদিক এর নামে থানায় অভিযোগ! ভিডিও

ডেস্ক রিপোর্ট / ২৪১ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের রাফিউ প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের অনিয়মের তথ্য ফাঁস করায় সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার এর বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুলটির মালিক। জানা যায়, রাফিউ স্কুলে একই পরিবারের তিন শিক্ষার্থী গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সেখানকার স্কুলে ভর্তি হতে চাইলে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রত্যয়ন পত্রের জন্যে গ্রামের স্কুলে ভর্তি হতে পারছেনা। শিক্ষার্থীদের মায়ের অভিযোগ যে করোনা চলা কালীন বেতন সরকার নিষিদ্ধ করলেও রাফিউ স্কুলকে বেতন পরিশোধ করতে হবে ও আমার তিন মেয়েকে ২০২২ সালে দুইজনকে সপ্তম শ্রেণীতে ও একজনকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করার ৩ মাস পরে তাদের পরীক্ষা হয়, এখন স্কুলের কর্তৃপক্ষের দাবী পুরো বছরের বেতন পরিশোধ না করলে পরীক্ষার মার্কশীট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়া যাবে না বলে দাবী করে বসেছেন। কিন্তু এই দিকে আমি প্রতিবাদ জানালে কিছুই দেবেন না বলে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলেন, শুধু তাই নয় এই স্কুলের ম্যাডাম ও শিক্ষকদের আচরণ নোংরা প্রকৃতির।

আমার মেয়েদেরকে স্কুলের শ্রেণী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক প্রায়ই গায়ে হাত তোলাসহ মানসিক নির্যাতন করতেন বলে আমার মেয়েরা অভিযোগ করতো। একদিন আমার মেজো মেয়ে বাসায় এসে কান্না কাটি করে, তখন তাকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন রফিক স্যার ও রিতু ম্যাডাম আমাকে আজকে মা-বাবা তুলে অনেক গালি-গালাজ করেছেন. অন্য সহপাঠীরা স্কুলে চিল্লাচিল্লি করলে স্যার কাউকে কিছুই না বলে আমাকে বকাবকি করেন। আরও বলেছেন, করোনা কালীন বেতন দাও নাই; আমরা এমনিতেই পাশ করিয়ে দিয়েছি, ফ্রি ঘরে বসে পাশ করেছো ভালো লাগে না! ২য় তলা থেকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়ার কথাও বলেন।

ভূক্তভোগী তিন বাচ্চার মা আরো বলেন স্কুলের মালিক স্কুলের মাস্টারি করেন বাহার স্যার করোনা কালিন বেতন পরিশোধ না করলে দৈহিক ভাবে আদায় করে নেবেন, আমার কেউ কিছুই করতে পারবেন না কারণ কমিশনার আমার আত্মীয় কে কি করবেন! এই বলে হুমকি দেন।

এইসব বিষয়ে সংবাদ টিভির চেয়ারম্যান, বিডিসি ক্রাইম বার্তার বার্তা সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম – বিএমএসএফ এর সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল খন্দকার জানতে চাইলে অস্বীকার করেন। বাচ্চাদের রোল আর রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার চাইলে বলেন প্রবেশপত্রে সব দেওয়া আছে কিন্তু দুই পরীক্ষার প্রবেশপত্র যাচাই করে দেখা যায়, একই স্কুলের প্রবেশপত্র তবে একটি প্রবেশপত্রে নামের ভুল আরেকটি প্রবেশপত্রে রোল নাম্বার থাকলেও অন্যটিতে রোল নাম্বার নেই এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে ম্যাডাম বলেন করোনা চলা কালীন বেতন ও গত বছরের পুরো বেতন পরিশোধ না করলে দেওয়া হবে না। সংবাদ টিভির চেয়ারম্যান, বিডিসি ক্রাইম বার্তার সম্পাদক ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম – বিএমএসএফ এর সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল খন্দকার বলেন, তিন মাসের বেতন পরিশোধ করে আরো বেশি টাকা দেওয়া আছে আপনার কাছে এর পরেও আবার পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে দেবেন বললে ম্যাডাম বলেন পুরো টাকা পরিশোধ না করলে দেবে না বলে অস্বীকার করেন।

প্রবেশপত্রে ভুল দেখে, এইসব বিষয়ে মিডিয়াতে লেখালেখি করলে সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার এর বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে মুঠোফোনে সাংবাদিক জুয়েল খন্দকারকে জানান কামরাঙ্গীরচর থানার এ এস আই জাহাঙ্গীর। সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার বলেন, তদন্ত করে সত্যতা পেলে মামলা দায়ের করতে বলেন তবে সংবাদ এর বিষয়ে তিনি আপোষ করতে রাজি নন বলে দেন ও বাচ্চাদেরকে থানায় কেহ নিয়ে যাবেন না প্রয়োজন বাসায় গিয়ে তদন্ত করে আসেন কারণ বাচ্চাদেরকে থানা চেনানো ঠিক হবেনা বলে তিনি বলেন; তদন্ত অফিসার জাহাঙ্গীর হয়তো এই বিষয়ে কিছুটা বুঝতে পেরেছেন তিনি অনন্ত ভালো মনের মানুষ।

এমতাবস্থায় শাকিব নামের এক ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। মুঠো ফোনে ছাত্রের অভিভাবক জানান শাকিব রাফিউ প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের ছাত্র ছিলো। এই স্কুল থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত আমরা পড়িয়েছি কিন্তু সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র এখনও রিডিং পড়তে পারে না। এইসব বিষয়ে আমরা জানতে চাইলে শাকিব এর বাবাকেও স্কুলের ভিতরে গালি-গালাজ করেন ও বলেন আপনি পারলে কিছু করেন, আমরা কমিশনারের আত্নীয়-স্বজন বলে হুমকি ধমকিও দিতে থাকেন; ভুক্তভোগী পরিবারটি বলেন, কি করবো আমরা অসহায় মানুষ।

সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার এর বিরুদ্ধে থানার অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিক সংগঠন মহলে তুমুল ঝড় উঠেছে অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে রাজ পথে আন্দোলন করা হবে। স্কুলে ছাত্রদেরকে না পড়িয়ে বেতন ভাতা নেওয়াসহ বিভিন্ন পরীক্ষা বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াটা শুধু ব্যবসা নয় এটা এক প্রকার ডাকাতি, এইসব কিন্ডারগার্টেন গুলি সরকারের কোন নিয়মকানুন না মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে গড়ে তুলছেন মূর্খ জাতি। এই ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে দেওয়া যায় না, এদেরকে আইনের আওতাধীন এনে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।


আরো পড়ুন