• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন

মাদকের এএসআই আরিফের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা মাসোহারা আদায়ের অভিযোগ

বদরুল আমীন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি / ২৭৯ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২৯ মে, ২০২২

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ সদরের অপারেশন টিমের ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে অধিনস্ত প্রায় সবাই চরম দূর্নীতে জড়িয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি উপ-পরিচালক বাবুল তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ময়মনসিংহ “ক” সার্কেলের পরিদর্শক কাজী হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৭ জনের একটি দল মোতালেবকে আটক করে দু’টি সোনার আংটি, নগদ টাকা ও বিকাশে রাখা টাকা উঠিয়ে নিয়ে গেছে।

মোতালেবের প্রতিবেশীরাও ৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী এই রেইটিং টিমকে ডাকাত বলে দাবী করে জানান, মোতালেব গেইট খোলার পর পরিচালক মোঃ বাবুল সরকার উল্লেখ করেছেন, মোঃ আরিফ মিয়া সহকারী উপ-পরিদর্শক কোনরূপ অনুমতি না নিয়ে তারা ঘরে ঢুকে বিভিন্ন মালামাল তছনছ করে। পরিদর্শক এর রেইটিং পার্টির যোগসাজসে বিকাশের ৩৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ কিছু না পেয়ে তারা মোতালেবকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে কাঠগোলা পিও দেখিয়ে মামলা ঠুকে দেন। আলামত জব্দের স্বাক্ষীরা মোতালেব এর কাছ থেকে ইয়াবা রিকোভারী দেখেনি। সম্প্রতি অনুসন্ধানে জানা যায়, ময়মনসিংহে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের বাসায় সহকারী উপ-পরিদর্শক আরিফের রান্নাঘর পর্যন্ত আসা-যাওয়া রয়েছে। শহরের যৌন পল্লীতে দেশীয় মদের হকার সেজে ব্যবসা করানোর জন্য বেশ কয়েকজন যৌন কর্মীর কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়েছেন। যৌনকর্মীরা আশা প্রকাশ করছেন, তারা মুসলিম হয়েও পেয়ে যাবেন বাংলা মদের পারমীট। সহকারী উপ-পরিদর্শক আরিফ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে এজেলায় কর্মরত আছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি কিনেছেন। গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে তার বহু সয়সম্পত্তি। বাড়ি বানিয়েছেন এসব স্থানে।

আরিফ নাকি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের “টাকার গাছ”। অভিযোগ রয়েছে, সহকারি উপ-পরিদর্শক মাসে ২০ লাখ টাকার অধিক চাদাবাজী করেন এশহরে! অভিযোগ রয়েছে ময়মনসিংহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-সহকারি পরিদর্শক আরিফ মিয়া ময়মনসিংহ সদরের শীর্ষ মাদক ব্যসায়ী হামিদা বেগম ওরফে হামে কওয়াটখালি প্রতি মাসে ৬০হাজার টাকা, সৈয়দ আলি, গ্রামঃ কেওয়াটখালি, প্রতি মাসে ৪০হাজার টাকা, দুখুনির কাছ থেকে গ্রামঃ সেনা ক্যান্টানম্যান এর পাশে প্রতি মাসে ৬০হাজার টাকা, আজিজা বেগম গন্ড্রফা প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা, মুন্নেছ গন্ড্রফা প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা, রাহেলা বেগম গ্রামঃ রহমতপুর= প্রতি মাসে৪৮ হাজার টাকা, জীবন গ্রামঃ ফুলবাড়িয় প্রতি মাসে টাকা ৪৮ হাজার টাকা( ব্যবসার স্থল-শুম্ভগজ্ঞ, জেলখানার, তিন কোনার পুকুর পাড়, গোয়ালকান্দি) সহ শম্ভুগঞ্জ ঋষি পাড়া থেকে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা করে মাসোহারা আদায় করে বলে বলে অভিযোগ প্রচার রয়েছে। এসকল ব্যবসায়ীদের সাথে উপ-সহকারি পরিদর্শক আরিফের সাথে রমরমা খাতির রয়েছে।

স্থানীয় পুলিশ এদের একাধিকবার ধরে মামলা দিলেও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্ত এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের কেশাগ্রহও স্পর্শ করেনা। ময়মনসিংহে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মরত “ক” সার্কেলের রেইটিং টিমের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ বাবুল সরকার। তদন্ত প্রতিবেদনে এএসআই আরিফকে সবচেয়ে বেশী অভিযুক্ত করে আপরাপরদের চরম ব্যর্থতা ও ঘটনায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে উপ- পরিচালক মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। যার ডায়েরী নং ১৮৯ তাং ৩০/৩/২০২২। ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ বাবুল সরকার এর তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে, রাত ৮টা থেকে ৯টায় মোতালেবকে তার নিজ বাসা থেকে ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ময়মনসিংহ “ক” সার্কেলের পরিদর্শক কাজী হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৭ জনের একটি দল উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে কাঠগোলা পিও দেখিয়ে মামলা ঠুকে দিয়েছে। যা কোতোয়ালী থানার মামলা নং ৮৬ (১১)২১।

সিজার লিস্টের স্বাক্ষীরা বলেছে তাদের মাদক দেখানো হয়। আদালতে বরাবরে মোতালেব অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, কাজী হাবিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ গত ২৩ ফ্রেব্রুয়ারী তাকে গ্রেফতার দেখান। তারপর মোতালেব এর কাছ থেকে দু’টি সোনার আংটি ও ৭৬ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। মোতালেবের হাতে থাকা বাটন মোবাইল সেটটি-যার ব্যবহৃিত নম্বর ০১৯৮১২৪৯০৪২ নিয়ে বলে এটি কি বিকাশ করা? নিশ্চিত হয়ে বিকাশের পিনকোর্ট চায়। না দেয়ায় মোতালেবকে মারধর করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এর এএসআই আরিফ ও ফারুক মিয়া মোবাইলটি তাদের হেফাজতে নিয়ে পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারী দু’দফায় ৩৯ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয়। পরে মোতালেব দীর্ঘদিন হাজতবাস করে ১লা মার্চ জামিনে মুক্তি পায়। ২ মার্চ তার ব্যবহৃিত সীম উত্তোলন করে দেখতে পায় তার মোবাইল থেকে টাকা উঠানো হয়েছে। মোতালেবু জানায়, রেইটিং লোকেরা তার ০১৭২২৩৮৬২৮৮ ও ০১৮৪৯৩৮৪৮১২ সীমের মাধ্যমে টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে গিয়ে মোতালেব টাকা, দু’টি সোনার আংটি ও মোবাইল দাবী করলে মামলার তদন্তকারী অফিসার তাকে আরো মামলা দিবে বলে হুমকী দেয় ।

এতে সে ভীত হয়ে ফিরে আসে। ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সার্কেল “ক” রেইটিং টিমকে ডাকাত বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগী মোতালেব। তার দাবী তাকে বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে কাঠগোলা পিও দেখিয়ে ৬শ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মামলা ঠুকে দিয়েছে। ময়মনসিংহ “ক” সার্কেলের পরিদর্শক কাজী হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৭ জনের একটি দল মোতালেবের দু’টি সোনার আংটি, নগদ টাকা ও বিকাশে রাখা টাকা উঠিয়ে নিয়ে গেছে। মোতালেবের প্রতিবেশীরাও ৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে সহকারি পরিচালক মোঃ বাবুল সরকার উল্লেখ করেছেন, মোঃ আরিফ মিয়া সহকারী উপ কোনরূপ অনুমতি না নিয়ে তারা ঘরে ঢুকে বিভিন্ন মালামাল তছনছ করে। পরিদর্শক রেইটিং পার্টির যোগসাজসে আরিফ বিকাশের ৩৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।


আরো পড়ুন