• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

সেই অতন্দ্র প্রহরীরা আজ কে কোথায়?

সাঈদুর রহমান রিমন প্রধান সম্পাদক / ৩৩৯ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঢাকায় প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির মধ্যেও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল লোকে লোকারণ্য। বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে একঠাঁয় দাঁড়িয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছিল লাখ লাখ মানুষ।

২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ, দেশে প্রত্যাবর্তনসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকা থেকে দিল্লী যান আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মালেক উকিল, জিল্লুর রহমান, ড. কামাল হোসেন, আবদুল মান্নান, আবদুস সামাদ আজাদ, জোহরা তাজউদ্দীন, এম কোরবান আলী, বেগম সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আইভি রহমান প্রমুখ। পূর্ব থেকেই ছিলেন ডাঃ এসএ মালেক। পরে ড. কামাল হোসেন এবং সাজেদা চৌধুরীকে রেখে বাকিরা সবাই দেশে ফিরে যান।
ঢাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর নির্ধারিত হয় ১৭ মে ১৯৮১ শেখ হাসিনা ঢাকায় ফিরে আসবেন।

সে এক উত্তেজনাকর আবেগময় ঘটনা। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে দিল্লী যান আবদুস সামাদ আজাদ ও এম কোরবান আলী। ১৭ মে বিকেলে ঢাকায় বিমান থেকে নামেন শেখ হাসিনা। সেদিন আকাশে ছিল মেঘ, ছিল মুষলধারে বৃষ্টি। প্রকৃতি যেন শোকের চাদর গায়ে মলিন বদনে শেখ হাসিনার জন্য প্রতীক্ষা করছিল। লাখ লাখ বঙ্গবন্ধুপ্রেমির স্লোগানের মাঝে তিনি খুঁজে ফেরেন স্বজনের মুখ। আবেগজড়িত কণ্ঠে চিৎকার করে বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাই’।

মুহূর্তের মধ্যে সে ধ্বনি প্রকম্পিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল চৌষট্টি হাজার গ্রামের প্রতিটি লোকালয়ে। বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনাস্থল মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ পর্যন্ত পুরো রাস্তা ছিল লোকে লোকারণ্য। ১০-১৫ লাখ লোকের সমাগম হয়েছিল সে সংবর্ধনায়। আজ শেখ হাসিনার মন্ত্রী সভায় ঠাঁই পাওয়া ৩/৪ জন ব্যতিত অন্যরা কেউ ছিলেন না সেদিন।

সেদিন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও শেখ হাসিনার আঁচল ধরে ধরে যারা সারাক্ষণ পাশে ছিলেন, নিজেদেরকে নিরাপত্তার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিয়োজিত রেখেছিলেন আজ তারা কে কোথায় কেমন আছেন? সে খোঁজটি নেয়ারও কেউ যেন নেই…


আরো পড়ুন