ঠাকুরগাঁওয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা সহ নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের আশায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজার সংলগ্ন তাদের ভাড়া বাসায় এক জনাকীর্ণ পরিবেশে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগির স্বামী রহিমুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে রহিমুল হক জানান, তিনি একজন ক্ষুদ্র মৌসুমী ব্যবসায়ী। গড়েয়া বাজারে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।সেখানে স্থানীয় আশরাফুল আলম মানিক নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তার কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদা না পেয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করতে গত ১৯ এপ্রিল তার বাসায় সদর থানার এক এস আইকে নিয়ে যায় এবং হুমকি-ধামকি দিয়ে রহিমুল ও তার শ্যালক উমর ফারুক থানায় নিয়ে যায়।
এ সময় রহিমুল তার কাছে থাকা ব্যবসার দুই লক্ষ ২৬ হাজার টাকা তার স্ত্রী রুপা বেগমের কাছে দিয়ে যায়, যা দেখে ফেলে মানিক।এরপর থানা থেকে তাদের ছাড়িয়ে আনার জন্য মানিক নামের ওই ব্যক্তি রুপা বেগমের নিকট ২ লক্ষ টাকা দাবি করে, রুপা তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এক পর্যায়ে মানিক তার স্ত্রীর সাথে জবরদস্তি করে এবং ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসি এগিয়ে এলে রুপা বেগমের কাছে থাকা ২ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় সেই প্রভাবশালী মানিক।পরে রাতে কোন অভিযোগ না থাকায় থানা থেকে ছাড়া পেয়ে রহিমুল বাসায় ফিরে জানতে পারেন তার স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়ে তার স্ত্রীর হাতে দিয়ে যাওয়া ২,২৬,০০০টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সেই মানিক। এ ঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল রুপা বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।এদিকে মামলা দায়ের করার পর থেকেই বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ মামলা তুলে নিতে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন আশরাফুল আলম মানিক ও তার নিয়ন্ত্রিত লোকজন।
রহিমুল আরও জানান, অপরাধীকে না গ্রেফতার করায় আমরা পরিবার নিয়ে শঙ্কায় দিন অতিবাহিত করছি। ব্যবসার পুঁজি ছিনিয়ে নেওয়ায় ব্যবসাও করতে পারছি না। এসময় আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার সহ তার শাস্তির জোর দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আশরাফুল আলম মানিক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানান।