• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার থেকে বিদায় নিলেন জেলা প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয়ের আবেগময় স্ট্যাটাস!

/ ৩৬৩ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি:কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দায়িত্বরত সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন প্রটোকল) মো. সাইফুল ইসলাম জয় ও সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) একেএম লুৎফর রহমানকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে (৩০জুন) রাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: শাহাজাহান আলি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: মাসুদুর রহমান মোল্লা, স্থানীয় সরকার কক্সবাজার জেলার উপ-পরিচালক শ্রাবন্তি রায় সহ জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিদায়ের অনুষ্ঠানের পরে কক্সবাজার জেলার সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসা ও হৃদয়ের টানে ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয় তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটার্স দিয়েছেন। তা পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
“বিদায়” প্রিয় কক্সবাজার
তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ-বিদায়। মাত্র তিন অক্ষর। কিন্তু শব্দটির আপাদমস্তক বিষাদে ভরা। এ বিষাদের হাহাকারে জর্জরিত এ দেহ-মন।
২০১৭ সালে ১৬ই এপ্রিল এসেছিলাম কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে । এ জেলার মানুষের দেহ-সোষ্ঠব এবং মন সমুদ্রের মতই বিশাল এবং অফুরান। চিন্তন এবং মননে এক অসীম উদারতার মূর্ত প্রতীক এ জেলার মানুষ। এই বিশাল হৃদয়ের মানুষদেরকে নিজের মেধা, যোগ্যতা আর দায়িত্ববোধের প্রমাণ দিতে চেষ্টা করেছি সব সময়। এখানেই পেয়েছি বটবৃক্ষের মত আভিভাবক মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব মো: কামাল হোসেন স্যারকে। যিনি একজন শিক্ষা বান্ধব জেলা প্রশাসক হিসেবে ইতিমধ্যে কক্সবাজারবাসীর মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন। জেলার অন্যান্য কর্মকান্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে কক্সবাজারে শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সেইসাথে কক্সবাজারে স্থানীয় ও পর্যটকদের সুবিধার্থে করেছেন অনেক কিছু। এ সমস্ত কাজ কিভাবে করা যায় স্যারের পাশে থেকে তা শিখতে পেরেছি। স্যারের নির্দেশনায় সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের হয়রানি রোধ, সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখাসহ বিভিন্ন সেবা দিতে সর্বদা চেষ্টা করে গেছি নিরলসভাবে। এ ছাড়া পর্যটকদের অসাবধানতা বশত: হারিয়ে যাওয়া সন্তান আর মালামালও উদ্ধার করেছি পর্যটন সেলে দায়িত্বে থাকার কারণে।
সময় যত পার হচ্ছিল তখন থেকেই যেন মনে হচ্ছিল এই বুঝি বেজে উঠলো বিদায়ের ঘন্টা। অবশেষে ঠিকই হৃদয়ের বাঁধনকে রিক্ত-রুষ্ট করে ছিঁড়ে গেল নিয়মের বাঁধন। বেজে উঠলো আনুষ্ঠানিক বিদায়ের করুণ সুর। চাকরীর নিয়মের কারণে যেতে হবে অপর স্থানে এটাই স্বাভাবিক। এই তিন বছরের ব্যবধানে কক্সবাজারের অনেক জনের মুখ এতো আপন হয়ে যাবে কখনো ভাবতে পারিনি। বিদায় বেলায় তাদের স্মৃতি নিয়ে চললাম আগামীর পথে। আর অশ্রু জলে সেই আপনদেরকে জানাই অসীম ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা।
দোয়া করবেন আমার জন্য । ভবিষ্যত চলার পথে যেন সাধারণ জনগনের সেবা দিতে পারি অবিচলভাবে।


আরো পড়ুন