• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন

টেকনাফে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।

/ ৩১৪ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

রিপোর্টার মোঃ ইয়াছিন আরফাত হ্নীলা:-
কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যারা সদস্য আছেন, তাঁদের কাজ কি? যেহেতু আমাদের পুলিশের সংখ্যা কম, সমাজে পুলিশের ভূমিকায় কাজ করা এবং পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করাই হলো কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ। অতএব মনে রাখতে হবে আপনারা যারা কমিউনিটি পুলিশের সদস্য, পুলিশ বাহিনীর সাথে সহযোগি হিসেবে কাজ করছেন, দেশ গঠনে ভূমিকা রাখছেন, জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ও ইভটিজিং সহ সকল ক্ষেত্রে আপনারা ভূমিকা রাখতেছেন। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে এখানে দু/একজন বক্তা অভিযোগ করেছেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই- যদি কেউ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের গায়ে হাত তুলে, তবে তাকে উপযুক্ত দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। টেকনাফে জেলা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন- কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন (বিপিএম)।

গতকাল শনিবার বিকাল ৩টায় টেকনাফ পৌরসভার বাস ষ্টেশন ঝর্ণা চত্বরে কক্সবাজার জেলা পুলিশের আয়োজনে ও ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের সভাপতিত্বে ও পৌর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসাইনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন (বিপিএম) আরও বলেন- টেকনাফে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৮০% মাদক নির্মূল হয়েছে। মাদক নিমূর্লে আমাদের অভিযান কোন চেহারা দেখে হবে না। হাজ্বী-গাজী, চেয়ারম্যান, অমুক নেতা, এসকলকে আমরা তুচ্ছ মনে করি। কোনভাবেই মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টদের আমরা পরোয়া করিনা। মাদক নির্মূলে যা যা করার দরকার, আমরা তাই করে যাব।

তিনি বলেন- কক্সবাজার জেলা কারাগারে বর্তমানে ৪৩০০ জন বন্দি রয়েছে, এরমধ্যে ৩২০০ জন হলো মাদক ব্যবসায়ী। তাহলে কি বুঝতে পারতেছেন! এর থেকে কি বুঝা যায় না, মাদক নির্মূলে প্রশাসনের সফলতা কতটুকু! তবে সম্প্রতি ইয়াবা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলছে রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের বলব- তোমরা এসেছো মেহবান হিসেবে, তোমরা ক্যাম্পের মধ্যেই থাকো। তোমাদের খাবার-দাবার সবকিছু সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা দিচ্ছে, তোমাদের কোন কিছুর অভাব নাই। অতএব তোমরা ক্যাম্পে থাকো, স্থানীয়দের কোনভাবেই তোমরা হয়রানী করতে পারবে না। রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ইয়াবা পাচার বন্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বয়কট ও কিছু ভূঁইফোড় অনলাইন পোর্টালে ভিত্তিহীন অপপ্রচারে কান না দিয়ে পুলিশকে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে সহযোগিতা করার জন্য তিনি কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার জেলার ইউএনডিপির কনসালটেন্ট ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু বক্কর (পিপিএম), টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি নুরুল হুদা, টেকনাফ আল-জামিয়া ইসলামিয়ার পরিচালক মুফতি কিফায়েত উল্লাহ শফিক, টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রাকিবুল ইসলাম, পৌর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আলম বাহাদুর, টেকনাফ সদর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি ডাঃ নুর মোহাম্মদ গণি, বাহারছড়া কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি আজিজ উল্লাহ, হ্নীলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএসবির পরিদর্শক মিজানুর রহমান, টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ইউএনডিপি দাতা সংস্থার কনসালটেন্ট সৈয়দ ফয়সাল আহমদ, কক্সবাজার জেলা প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর চৌধুরী মোহাম্মদ খালিদ হোসেন এরশাদ, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী প্রমুখ।
সভা শেষে মাদক নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন (বিপিএম) এর কাছ থেকে স্মারক গ্রহণ করেন- টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি নুরুল হুদা, পৌর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসাইন, কক্সবাজার জেলা প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর চৌধুরী মোঃ খালিদ হোসেন এরশাদ ও হ্নীলা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ নুরুল আমিন।


আরো পড়ুন