• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন

নার্সিং ভর্তিতে বাণিজ্য, লাখের অধিকে সিট বিক্রি!!

/ ২৯৫ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

এম রাসেল হোসাইনঃ দিন যাচ্ছে আইন শক্ত হচ্ছে সেই সাথে সতর্কতার সাথে এগিয়ে চলছে দূর্নীতি। আইনের চোখ ফাকি দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন উপায় অবলম্বন করে অর্থের পাহাড় গড়ে তুলছে দূর্নীবাজরা।দূর্নীবাজদের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে এখন শিক্ষা বিভাগ।

শিক্ষা বিভাগের প্রতিটি পর্যায়ে দূর্নীতির জমকালো আসর জমে উঠেছে। প্রশ্ন ফাস থেকে শুরু করে অবৈধ্য ভাবে মেধাহিনদের কাছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিট বিক্রি করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন দুর্নীতিবাজরা।তাদের হাত থেকে বাদ যায়নি সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষাও।

এ ব্যাপারে জানার জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করা একজনকে জিজ্ঞেস করলে তার নাম গোপন রাখার শর্তে প্রতিবেদককে বলেন,৬ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নার্সিং পরীক্ষায় আমি যাদের শিক্ষার্থী যোগার করে দিতাম তারা ৪২ টি নার্সিং ইনস্টিটিউটের মধ্যে ৩৮ জন শিক্ষার্থীকে ৬৫ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে।

তিনি কত টাকা পেয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,একজন শিক্ষার্থী যোগার করে দিলে আমাকে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

প্রতিবেদক পুনরায় তার কাছে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা দিয়ে বলেন,এসব শিক্ষার্থীরা টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছে।আপনার বিশ্বস না হলে আমি আপনাকে একটি সুত্র দিচ্ছি আপনি তদন্ত করে দেখতে পারেন। তিনি আরও বলেন,ভর্তি হওয়া অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ইংরেজিতে রিডিং পড়তে পাড়ে না।

তার দেওয়া তালিকা থেকে সরজমিনে দেখা যায়,বাংলাদেশের সরকারী ৪২ টি নার্সিং ইনস্টিটিউটের মধ্যে জামালপুর,শেরপুর, মৌলভীবাজার,টাংগাইলসহ বেশ কয়েকটি নার্সিং কলেজে একাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী নার্সিং কলেজের এক শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে শর্তে প্রতিবেদককে বলেন,আপনি যেমনটা বলেছেন তেমন অনেক শিক্ষার্থী আছে কিন্তু কিছু করার নেই।কারন তারা সবাই মেধা তালিকায় উত্তীর্ণদের মধ্যে আছে সেজন্য ভর্তি করা হয়েছে।


আরো পড়ুন