• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লা মডেল থানায় সেবা নিশ্চিতকরণে ডিউটি অফিসারের ভুমিকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেল।

/ ২৬১ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

সাইফুল ইসলাম ফয়সালঃ(কুমিল্লা প্রতিনিধি)
থানায় আগত সেবা গ্রহিতাদের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিতকরণে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় ডিউটি অফিসারের কক্ষে কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন পিপিএম সরাসরি তদারকি করেন এবং থানায় সেবা গ্রহীতাদের বিভিন্ন সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এবং কুমিল্লার পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় আসা সাধারণ মানুষের পুলিশী সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন কোতয়ালী মডেল থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে বসে অফিসাসরদের কার্যক্রম তদারকি করেন এবং নিজেও সরাসরি বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসা সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আদেশ প্রদান করেন।
রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় কোতয়ালী মডেল থানায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো:আনোয়ারুল হককে সাথে নিয়ে থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসা সাধারণ মানুষজনের সাথে কথা বলেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন। এ সময় সেবাগ্রহীতাদের সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে তাৎক্ষনিক বিভিন্ন কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে সমস্যাগুলো সমাধানের ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করেন।

কোতয়ালী মডেল থানার অধীন মধ্যম মাঝিগাছা এলাকার লাভলী আক্তার কোতয়ালী মডেল থানায় আসেন দাম্পাত্য কলহের সমস্যা সমাধানের জন্য। স্বামী দিদার আহমেদ নানান ছলছুতোয় প্রায়ইশ লাভলী আক্তারকে মারধর করেন। লাভলী ও দিদার দম্পত্তির ঘরে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অভিযোগ শুনে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো:তানভীর সালেহীন ইমন পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নারী শিশু সহয়তা সেলে একটি অভিযোগ করতে বলেন এবং মুঠোফোনে নারী ও শিশু সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক পলি রানী বর্ধণকে মুঠোফোনে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে নিজের সরকারি মোবাইল নাম্বার দিয়ে দেন অগ্রগতি জানানোর জন্যে। থানা থেকে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে কন্যা সন্তানটিকে সাথে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের দিকে পা বাড়ান লাভলী আক্তার।

পঞ্চান্ন বছর বয়সী সামছুল হকের শখের মোবাইল ফোনটি চোরে নিয়ে গেছে। মুঠোফোনটি চোর থেকে উদ্ধার করতে কোতয়ালী মডেল থানায় আসেন। সবশুনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।

বেশ কয়েকজন জিডি এবং ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত কাজে আসলে সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলে কোথাও কোন হয়রানির শিকার হলে তাৎক্ষণিক তাকে জানানোর পরামর্শ দেন। এতে আগত সেবা গ্রহীতারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পুলিশী সেবা নিশ্চিত করনে থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের এমন তদারকির বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো:আনোয়ারুল হক বলেন, একজন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে স্যার টিম ওয়ার্ক করে অপারেশনাল ও সেবামূলক কাজের জন্যে সমাদৃত। গত রাত দুইটা পর্যন্ত আমাদের সবাইকে নিয়ে পাঁচটি টিম করে ১ দিনে সাজা পরোয়ানাসহ ৫২ টি ওযারেন্ট নিষ্পত্তি করতে অসাধারণ ভুমিকা রাখেন আবার সকাল বেলায় থানায় ডিউটি অফিসারের রুমে বসে সেবাগ্রহিতাদের ধৈর্য্যসহকারে সমস্যার কথা শুনেন। এই উদ্যোগ অবশ্যই আমাদের উৎসাহিত করেছে। অফিসারদের মধ্যে পুলিশী সেবা প্রদানের একটা তড়িৎ গতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে কাজের জবাবদিহীতা-স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায়।

উল্লেখ্য যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম), আইজিপি ব্যাজ, দুইবার চট্টগ্রাম রেঞ্জের এবং এই পর্যন্ত ২২ বার কুমিল্লার সেরা সার্কেল অফিসারের পুরস্কার পেয়েছেন। সম্প্রতি কুমিল্লা জেলা পুলিশের পৃষ্ঠপোষকতা ও ভিক্টোরিয়া কলেজ বিতর্ক পরিষদের আয়োজনে সারা দেশ থেকে আগত ৩২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহনে মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন।


আরো পড়ুন