• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে অর্থআত্মসাতের ঘটনায় মহাপরিচালকের নিকট অভিযোগ!

/ ২৮৯ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯: স্বাস্থ্যখাতকে ধবংসের পায়তারার মাধ্যমে থেকে বিপুল টাকা আত্মসাৎকারী ও দূর্ণীতিবাজ দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগিরা। সম্প্রতি দূর্ণীতিবাজ মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট (ইপিআই) আব্দুল্লাহ আনসারী ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগসূত্রে প্রকাশ, আব্দুল্লাহ আল আনসারী স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশনের সভাপতি থাকাকালে ২০১৮ সালে বিভিন্ন পদ্বতিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো। ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন, কখনো স্বাস্থ্য সহকারী ডিপ্লোমায় উন্নীত আবার ১১তম বেতন গ্রেডে উন্নীত করে দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই খাতে বিপুল অংকের টাকা উত্তোলন করে।

প্রথম পর্যায়ে এরা দায়িত্বে থাকাকালে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়ে পুনরায় স্বাস্থ্যকর্মীদের পদোন্নতির নামে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেয়। বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর তারা আত্মগোপনে চলে যান। ওই সময় আব্দুল্লাহ আনসারী সিলেটের দক্ষিন সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে সিলেটের খাদিমপাড়া ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এমটিপিআই পদে কর্মরত আছেন।

অন্যজন রফিকুল ইসলাম ঢাকার মুগদা হাসপাতালে কর্মরত আছেন। বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাৎ করেও তারা অদৃশ্য কারনে বহাল তবিয়তে আছেন। এদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠকর্মী এসোসিয়েশনের মহাসচিব এ রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক-৩ (প্রতিকল্প) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান তদন্তপূর্বক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের নিকট একটি পত্র পাঠিয়েছিলেন। ওই পত্রে তিনি তাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যখাতকে ধবংসের পাঁয়তারার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময়ে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট বিভাগ। যার ফলে তারা বেপরোয়া হয়ে পড়েন।

সম্প্রতি গত ১১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য সহকারী মানিকগঞ্জের মো. মনিরুজ্জামান, খুলনার নাসরিন সুলতানা, চট্টগ্রামের মোস্তফা কামাল, রাজশাহীর ওবায়দুল কবির ও কুমিল্লার দেলোয়ার হোসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের আব্দুল্লাহ আল আনসারী ও রফিকুল ইসলাম জামাত শিবিরের সংগে সম্পৃক্ত। এছাড়া একজন আনোয়ার পাটোয়ারী। যিনি জামাতের রোকন। গত ৫ জানুয়ারীর নাশকতার একাধিক মামলার আসামি। একাধিকবার কারাবরনকারী। স্ত্রীও জামাতের রোকন।

পাটোয়ারীর ছেলেও ঢাকার নবাবপুর শিবিরের সাবেক সভাপতি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার ও দীর্ঘকালীন কারাবরণকারী। তিনি বর্তমানে লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত।
একটি সূত্র দাবি করেছে, ওই পদে সারাদেশে প্রায় ২৫ হাজার কর্মচারী রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রথম দফায় ২৫ হাজার এবং দ্বিতীয় দফায় ১০ হাজার টাকা করে উত্তোলন করে।


আরো পড়ুন