• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন

বানারীপাড়ায় বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ স্থগিত-প্রতিবাদে মানববন্ধন।

/ ৩৮৩ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বানারীপাড়ায় সন্ধা নদীতে বালু উত্তোলনে আর কোন বাধা রইলো না ইজারাদারদের। নদী নাব্যতা সংকট ও বালু শ্রমিকদের বেকার সমস্যা আর দেখা যাবে না বানারীপাড়ায়। গত পহেলা আগস্ট ২০১৯ সালে ইলুহার চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের ও শরীফ উদ্দিনের মহামান্য হাইকোর্টে রিটের কারনে গত ২২,০৮,১৯ তারিখে আট সপ্তাহে বালু উত্তোলনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৬,০৮,১৯ তারিখে বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান বালু উত্তোলনের নিষেধাজ্ঞা উপর আট সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন। এর ফলে গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক অফিস থেকে ইজারাদারের টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য গত দশম নির্বাচনের পরে ইউপি সদস্য পরিমলের রিটের কারনে দীর্ঘদিন বালু উত্তোলন বন্ধ ছিলো। পরে একাদশ নির্বাচনের পরে ইলুহার ইউপি চেয়ারম্যান মো শহীদুল ইসলামের মধ্যস্থতায় পূনরায় বালি উত্তোলন শুরু করে কিছুদিন অতিবাহিত হলে ওই ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন ও আট সপ্তাহের স্থাগিতাদেশ নিয়ে আসেন। এদিকে গত ২০,৮,১৯ জেলা প্রশাসক টেন্ডার আহবান করলে আটটি পয়েন্টে ভাগ করে প্রায় ৮০ লাখ টাকা সরকারের ঘরে রাজস্ব দিয়ে সর্বোচ্চ ইজারাদারা বালু উত্তোলনের অনুমতি পান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কারনে এতদিন টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ পাননি গত ১৫,০৯,১৯ তারিখে জেলা প্রশাসক অফিস তাদের টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেন সেই মোতাবেক ইজারাদাররা টাকা জমা দিয়ে থাকেন। এই খবর এলাকায় জানাজানি হলে একজন ইজারাদার জানান একটি বিশেষ মহল বালু উত্তোলন না করতে পেরে অর্থাৎ যারা ইজারা পাননি তারা নদী ভাঙনের নামে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে গতকাল সকালে বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের বিহারী লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী দিয়ে একটি মানববন্ধন করান।

মানববন্ধনে সন্ধা নদীতে বালু উত্তোলনের ইজারা প্রক্রিয়া বাতিলের দাবী জানানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড তাদের হাতে দেখা যায় যাতে লেখা থাকে বালু উত্তোলন বন্ধ করো করতে হবে। এদিকে ইজারাদার মেসার্স হাসান হোসেন এন্টারপ্রাইজের প্রো.মোঃ রুবেল হোসেন জানান নদী ভাঙনের যায়গায় কোন পয়েন্ট দেয়া হয়নি শুধু মাত্র নদীর নাব্যতা সংকট দূর করনে চরাঞ্চলে আটটি পয়েন্ট করা হয়েছে যেখানে সরকারি খরচে নাব্যতা দূর না করে উল্টো রাজস্ব প্রদান করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার সঙ্গে হাজারো শ্রমিক সংশ্লিষ্ট রয়েছে যাদের দুবেলা দুমুঠো অন্যজোটে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে।


আরো পড়ুন