মানুষ ভাবে আর কথায় বলে _গভীর রাতে ও শেষ রাতে বিভিন্ন ধরনের চোর চুরি করতে বের হয়,এই বিভিন্ন ধরণ বলতে আমি বুঝি যে কথা লোক সমাজে গর্ব করে যায়না বলা,আর সেই ধরনের চোরদের খুজতে বের হন পুলিশ, গোয়েন্দা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সদস্যরা।আমি বসে বসে অলস মস্তিষ্কে নিদারুণ ভাবনা জমায়।তাই প্রায় এক বছর ধরে বিভিন্ন বয়স আর আচরণের মানুষের সাথে আলাপচারিতায় একটা বিষয় নিয়ে ভাবয়ায় পড়েছি তার কিঞ্চিত বর্ণনা না করলেই নয়।মানুষ আজকাল খুব আলোচনার টপ লেবেলে রেখেছেন মানুষের স্বীকৃতিহীন সম্পর্কগুলোকে। যেমন দুজন বিয়ে না করে বিবাহিতজীবনের ন্যায় জীবন যাপন করে আবার অনেকে ই বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অবৈধভাবে সম্পর্ক গড়ে আবার অনেকে ডিভোর্স দিয়ে অন্যত্র চলে যায়, কি উচ্চশ্রেণির কি নিম্ন শ্রেণির সকল ক্ষেত্রেই বিশাল অরাজকতা। আমার প্রশ্ন সেখানে নয় আমার প্রশ্ন এটা আলোচনার উর্ধ্বে কেন? এইসব ঘটনা কে কেন্দ্র করে যখন তখন যে কেউ যেমন ইচ্ছে তেমন করে অন লাইনে ভাইরাল করা নিয়ে ব্যস্ত, এটা কি!!আমাদের জীবনে কি ভালো কাজের অভাব!যা আমাদের ভাবমূর্তি কে নষ্ট করে তা নিয়ে এত মাতামাতি!দেশের মানুষের জীবন যাপনের কঠিন সংকটময় মুহূর্তে কিভাবে নিজেদের সুস্থতা ফিরিয়ে আনবো সেদিকে নজর নেই পড়ে আছে সব অচলায়তনে।চরিত্র বলতে আমরা কি শুধু বিপরীত লিঙ্গের সম্পর্ককেই বুঝি?আমার তো তা মনে হয় না।
একজন মানুষ যখন তার কাজ,কথা,আচরণ, ব্যবহার, জীবন যাপনে সৎ হবে তখনই সে চরিত্রবান আর যখন ই তার নৈতিক অবক্ষয় হবে তখনই সে খারাপ চরিত্রের মানুষ হবে কিন্তু আমরা তো মানুষের অন্যদিক নিয়ে এতো মাতামাতি করি না। একজন অসুস্থ কিংবা বৃদ্ধ যখন অসহায় অবস্থায় থাকে তখন শুধু অন লাইনে ভাইরাল করে ই কি চরিত্রবান হওয়া যায়। তাই বলি আমরা খারাপ দিক গুলো নিয়ে এভাবে মাতামাতি না করে কিভাবে খারাপ দিক রোধ করা যায় তা নিয়ে বেশি বেশি অন লাইনে ভাইরাল করি তাহলে ই মনে হয় তা উপকারে আসবে। দেশে হাজারো পরিমনি আর মুরাদের কাহিনী কে ভাইরাল করাটা কি খারাপ চরিত্রের মধ্যে পড়ে না?পারলে এসব কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেগুলো বেশি বেশি ভাইরাল করুন তাহলে নিজেদের এবং সমাজের চরিত্রে সুস্থতা আসবে।সারা দুনিয়ায় এসব সম্পর্কের ঘনঘটা আছে আগেও ছিল যুগে যুগে থাকবে কিন্তু অন্যদেশ এসব নিয়ে খুব একটা বাইরে প্রকাশ করে না কারণ তারা নিজেদের সম্মান আর কর্ম সম্পর্কে অতি সচেতন। দেশে অন লাইন ভাইরাল এর ক্ষেত্রে একটা নিয়ম থাকা দরকার যেখানে মিনিমাম দুটো পদক্ষেপ নিতে হবে (এডমন দ্বারা সুপারিশ) তারপর যেকোনো বিষয় ভাইরাল হবে তাহলে যুবক তার নিজ দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে কিছুটা সচেতন হবে। অন লাইনে খারাপ দিক গুলো সহজলভ্য হবার কারণে মানুষ বেশি অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে এ কথা ঠিক। মানুষের পেটে দিনে একবার খাবার পড়লে ই অন্য মৌলিক চাহিদা মেটানোর গুরুত্ব ভুলে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম অপকর্মে নিজেকে লিপ্ত করে ফেলছে অনায়াসে। আমার দেখা কিছু কারখানার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এখন ডিভোর্স আর অবৈধতার ছড়াছড়ি। এতে সেইসব পরিবারের ছেলে মেয়েদের প্রতি যে প্রভাব পড়ছে তা অকল্পনীয় তারা আর্থিক ও মানসিক ভাবে ভীষণ রকম খারাপ পর্যায়ে যাচ্ছে।এতে পুরো সমাজ সংক্রামিত হবে এবং হচ্ছে।
আমাদের দেশের কারখানাগুলোয় কাজ করে হাজারো শ্রমিক তাই সেখানে যদি একটা নিয়ম করা হয় যে,যারা বিবাহিত তারা মিনিমাম ছয় মাস কাউন্সিলিং পাওয়ার পরে ডিভোর্স দিতে পারবে এবং ডিভোর্স এর ছয় মাস পরে ২য় বার বিয়ে করতে পারবে,এছাড়া কোন রকম অবৈধ কার্যকলাপ প্রমানিত হলে কর্ম চুত করা হবে। তাহলে অনেক টাই নিম্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে সুস্থতা ফিরে আসবে।আমার মতে কর্তৃপক্ষ যদি এসব দিকে একটু সদয় হন তাহলে দেশে চরিত্র খারাপ বলে যে ঘটনাগুলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে তা কমে আসবে।তাছাড়া আমরা যদি নিজেদের সন্তানদের শুধু উচ্চ শিক্ষাকে প্রাধান্য না দিয়ে ধর্মীয়ভাবে ১৮/২০ বছর পর্যন্ত মানবিক আচরণে উৎসাহ দিয়ে লালন পালনে অধিক সচেতন হয় তাহলে অনেক টাই উপকার হয়।সামান্য মাস্ক পরিধানের বিষয়টাকেই দেখুন কত সুন্দরভাবে নিজে অভ্যস্ত হয়েছি এবং সকলকে সচেতন ও অভ্যস্ত করেছি। আমরা মুখে বলি সন্তানের ভালো চায় কিন্তু কতটুকু সময় দেয় মানসিক চাহিদা কে সঠিক পথে নিয়ে যেতে?যতটা অর্থ আর খাদ্যের যোগান দিতে সময় দেয় তার কিঞ্চিত যদি মনের লালনে সময় দেয় তাহলে অবশ্য ই সন্তানের বিপদের ঝুঁকি কমে আসবে।নিজেদের সম্মান নিজেরা রক্ষা করি এবং সর্বত্র নিজেদের প্রাধান্য গড়ি।