মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে তারা কলেজের সামনে জড়ো হন। গাড়ির ধাক্কায় নটরডেম কলেজের  শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান নিয়েছেন তারা।

তারা ঘটনার প্রকৃত আসামির গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার দাবি করে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান দেন।  সাড়ে ১১টা নাগাদ তারা শাপলা চত্বরের সড়কে অবস্থান নেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)-এর একটি ময়লা গাড়ি চালাচ্ছিল একজন সুইপার। চলছিল। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সেই গাড়িচাপায় রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহত হয়েছেন।

এদিকে ওই ঘটনায় বিচারের দাবিতে গুলিস্তানের সড়কে অবস্থান নিচ্ছেন কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অবস্থানের কারণে এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

পল্টন থানার ওসি সালাহ উদ্দিন মিয়া জানান ‘গ্রেপ্তার রাসেল গাড়িটির মূল চালক নয়। এ ধরনের ভারী গাড়ি চালানোর তেমন অভিজ্ঞতাও তার নেই।

নিহত নাঈম নটর ডেম কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। গতকাল সকালে সে বাসা থেকে কলেজের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বের হয়ে গুলিস্তান হল মার্কেট মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়িটি তাকে চাপা দেয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর সোয়া ১২টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার প্রতিবাদে নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা দুপুর ২টার দিকে কলেজের সামনে, মতিঝিল শাপলা চত্বর ও গুলিস্তান এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। তারা নাঈমের মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে চালকের ফাঁসি দাবি করে। শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। অনেকের বুকে, পিঠে লেখা ছিল, ‘আমি বাঁচতে চাই’।

নাঈম লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার কাজিরখিল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। মায়ের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস। তার বাবার নীলক্ষেতে বইয়ের ব্যবসা রয়েছে। কামরাঙ্গীর চর ঝাউলাহাটি চৌরাস্তা এলাকায় নিজেদের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকত সে। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট।