নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বরিশালে অর্থের বিনিময়ে মুলাদী উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নসহ কলেজ ছাত্রলীগের পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগসূত্রে জানা যায় মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি,সম্পাদক ক্ষমতার দাপটে রাতের আঁধারে অর্থের বিনিময়ে ত্যাগী নেতাদের বাদ রেখে নাজিরপুর ইউনিয়নসহ উপজেলার ,সফিপুর ইউনিয়ন ও নাজিরপুর ইউনাইটেড কলেজ, সৈয়দ বদরুল হোসেন কলেজ কমিটি ঘোষণা করেন।অথচ প্রতি কমিটিতেই ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে বিএনপি জামাত থেকে নব্য ছাত্রলীগ কর্মীদের রাখা হয়েছে।এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক অর্থের বিনিময়ে কমিটি ঘোষনায় উপজেলা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাসহ প্রতিটি ইউনিয়ন ও কলেজ ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।মুলাদী উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতা জানায়,রাতের আধারে টাকার বিনিময়ে আমাদের কিছু না জানিয়ে সভাপতি সম্পাদক ক্ষমতার দাফট দেখিয়ে এ কমিটি অনুমোদন দেন।তাদের এ পকেট কমিটিতে কোন ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি বরং বিএনপি জামাত পন্থী নব্য ছাত্রলীগ কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়।

অথচ বিএনপির আমলে যারা নির্যাতনের শিকার মামলার শিকার হয়েছে তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি।অচিরেই এ কমিটি বিলুপ্ত করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে নতুন কমিটি ঘোষণার আহবান জানান উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা।নাজিরপুর ইউনিয়নের ত্যাগি নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নাজিরপুর ইউনিয়ন শাখাকে গতিশীল করার লক্ষে পিতা মুজিবের আদর্শকে বুকে ধারন করে দীর্ঘ দিন দলের জন্য কাজ করে অথচ দল থেকে কি পেলাম।জননেত্রী শেখ হাসিনা যেখানে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নে সেচ্ছার সেখানে সুবিধাবাদী কিছু ছাত্রলীগ নেতারা অর্থের বিনিময়ে পকেট কমিটি গঠন করে,মুজিবের আদর্শকে বুকে ধারন করে দলের জন্য কাজ করে বাধাগ্রস্ত করছে। সফিপুর ইউনিয়নের আরেক ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা জানান,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের এ দেশে আওয়ামিলীগ ধ্বংসে কিছু সুবিধাবাদী আওয়ামীলীগের বদনাম করছেন।

এরি ধারাবাহিকতায় মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক তাদের স্বার্থে উপজেলা ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে পকেট কমিটি গঠন করে উপজেলা ছাত্রলীগের বদনাম করছেন।যে কমিটিতে কোন ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন করা হয়নি।অচিরেই এ কমিটি বিলুপ্ত করে মুলাদী ছাত্রলীগের কল্যাণে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক। এব্যাপারে মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক জানন কমিটির ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না সব সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক জানেন।