আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গভীর উদ্বেগের সাথে বলেছেন, একটি অশুভ মহল দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের গুজব, অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা আমাদের গণতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি হুমকিস্বরূপ।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকালে মন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিন ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে  আরও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে দেশের জনগণকে এসব গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানান। একই সাথে ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে এর অপব্যবহার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, একটি শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধী দলের যে প্রত্যাশা তা পূরণে ব্যর্থ বিএনপি নেতারা নিজেদের অক্ষমতা আড়াল করতে পুরনো রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারও চায় দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা এখন আর নতুন কোন বক্তব্য না পেয়েই পুরনো অভিযোগগুলোই বারবার নতুন করে বলছে। জনগণও চায় একটি বিরোধীদল জনগণের চোখের ভাষা ও মনের ভাষা বুঝুক, যাদের রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনের সক্ষমতা থাকবে। যারা জনগণের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াবে ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এবং সরকারের গঠণমূলক সমালোচনা করবে।

বিএনপিকে গুজব ও অপপ্রচার না চালিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব ভুলে গিয়ে বিএনপি এখন দায়িত্বহীন এক পরশ্রীকাতর দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপি জনগণের আশেপাশে না গিয়ে  এখন বিচরণ করছে মিডিয়া আর ভার্চুয়াল জগতে।

অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে বিএনপি নেতারা এখন রাজনীতি নয়, অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফরমায়েশি তথা নির্দেশিত হয়ে তারা বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন, যার সাথে দেশ ও জনগণের কোন সম্পর্ক নেই।

সরকার নাকি জনগণের দুঃখ দুর্দশা উপলব্ধি করতে পারে না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সবার আগে যে কোন দৈব- দুর্বিপাকে জনমানুষের পাশে দাঁড়ায়।

বিএনপি মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে মিডিয়ায় শুধু কথামালার ফুলঝুরি ছড়ায়। বিএনপির সুবিধাবাদী চরিত্র এবং ক্ষমতা-লিপ্সা জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের "ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট এর অধীনে নির্মাণাধীন ৩৫ টি সেতু ও রংপুর জোনের ২ টিসহ মোট ৩৭ টি সেতুর উদ্বোধনী করেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন নির্মাণাধীন সেতুগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং সাসেক করিডোর, এশিয়ান হাইওয়ে, বিমসটেক ও সার্ক হাইওয়ের সাথে সংযুক্তি ঘটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন বর্তমানে সারাদেশে সড়ক নেটওয়ার্কে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন হয়েছে। কিন্তু যতই উন্নয়ন হোক সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা জরুরি। নিরাপদ সড়কের জন্য যে কোন উপায়ে  এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলেও জানান তিনি।