• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন

পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা কে এই ইকবাল?

অনলাইন ডেস্ক / ২২২ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ব্যক্তি ইকবাল হোসেনকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। চিহ্নিত ইকবাল হোসেনের (৩৫ ) বাবার নাম নূর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লা নগরের সুজানগর এলাকায়।

বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এ ঘটনায় একজনকে চিহ্নিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই ইকবাল হোসেন আসলে কে? সেই প্রসঙ্গ থেকেই পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইকবাল নিয়মিত নামাজ পড়েন। আবার মাদকের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা আছে।

এছাড়া পুলিশের কাছে ইকবালের পরিবার দাবি করেছে, তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে পরিবারের বাইরে অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

তবে ইকবাল কেন, কী কারণে, কাদের প্ররোচনায় পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে মণ্ডপে রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে এখনো পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশের ভাষ্য, কুমিল্লার সুজানগরের এ যুবকই পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র নানুয়া দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে রাখেন। এরপর তা নিয়ে দেশব্যাপী তুলকালাম ঘটে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা গেছে, ওই ব্যক্তি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখে গদা কাঁধে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত ওই চিহ্নিত ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়নি।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা এ ঘটনার মূল সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছি। তাকে গ্রেফতারে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আশা করি, শিগগিরই অগ্রগতি পাওয়া যাবে।

পুলিশের আরেক কর্মকর্তা জানান, শনাক্ত ইকবাল হোসেন কোথা থেকে পবিত্র কোরআন শরিফটি সংগ্রহ করেছেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাও বের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীর দিন গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে দর্পণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা করতে যাওয়া একদল ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে নিহত হন চারজন। পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় নিহত হন দুজন।

এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। দেশের আরও অনেক এলাকায় হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়েছে।


আরো পড়ুন