• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন

বানারীপাড়া ইলুহার  ইউনিয়নে পার্টি অফিসে শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত

সুমন খান, নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৩৬ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১

বরিশাল বানারীপাড়ায়  ইলুহার ও মলুহার ইউনিয়ন এর  আওয়ামী লীগের ‌ পার্টি অফিসে আজ ১৮ অক্টোবর রোজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ,শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী সকল নেতাকর্মীকে নিয়ে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ বানারীপাড়ার উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল বাশার বাদশা , সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোল্লা , সংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল হোসেন,  ইলুহার ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ,কে এম আমিনুল হক সোহেল, ইলুহার ও মলুহার  ইউনিয়নে সাংস্কৃতিক সম্পাদক এরিনুমা, ইলুহার ইউনিয়নের   শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফাইজুল হক সংগ্রাম, প্রচার সম্পাদক সুমন খান, মেম্বার আব্দুল মন্নান, মাওলানা মোতালেব মিয়া, আব্দুল জব্বার, সকল  এলাকায় ইউনিয়নের সকল নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় শেখ রাসেল পরিষদ মনির উপজেলা সভাপতি আবুল বাশার বাদশা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত শেষে ,আনুষ্ঠানিক ভাবে কেক কাটা হয়।
জাতীয় শেখ রাসেল  পরিষদের বানারীপাড়া উপজেলার সভাপতি আআবুল বাশার বাদশা  তার বক্তব্যে বলেন,একটি জন্মদিন প্রিয় রাসেল, আজ তোমার জন্মদিন। কতোদিন ভেবেছি জন্মদিনে তোমাকে একটি চিঠি লিখবো, কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনি।লিখতে বসলেই ১৫ই আগস্টের কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে তোমার বেঁচে থাকার আকুতি। ওরা কি মানুষ! ওরা মানুষরূপী অমানুষ। তোমার মতো একটি শিশুর বুকে যারা বুলেট ছুঁড়তে পারে আর যাই হোক তাদের মানুষ বলা যায় না।
তুমি আমার থেকে কয়েক বছরের বড়ো হবে। তবুও মনে হয় তুমি আমার সেই ছোট্ট ভাইটি।
ভাই রাসেল, এই বাংলার মাটিতে তোমাকে অনেক  প্রয়োজন ছিলো। বেঁচে থাকলে তুমিও হয়তো একজন যোগ্য নেতা হয়ে উঠতে পারতে। ওই কুচক্রী মহল ঠিক বুঝেছিলো। তাই তো বাঘের বাচ্চা বাঘ হবে এই কথা বলে কচি দেহে বুলেট ছুঁড়তে একবারও দ্বিধা করেনি।
তুমি জানো, এই বাংলার মাটিতে এখনো কতো মায়ের কোল শূন্য হয়! কতো বোন ভাই হারা হয়!কতো বাবা তার সন্তান হারিয়ে চোখের জলে রাত কাটায়!
এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি! স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমরা আজও পরাধীন!
যখন লাল সবুজ পতাকা দেখি তখন লাল রঙের ভিতর তোমার রক্তের দাগ দেখতে পাই।
ভালো থেকো ভাই ওপরে।।
ইলুহার  ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ,কে এম আমিনুল ইসলাম সোহেল তার বক্তব্যে বলেন, জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধাঃ
১৯৭৫ সালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ছিল ইতিহাসের এক নির্মম ঘটনা। এর মধ্যে সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম ঘটনা হলো বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র ১০-১১ বছরের শিশু শেখ রাসেলের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড। এ থেকে বোঝা যায়, যারা সেদিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল, তারা ছিল নরপিশাচ। আমরা বুঝতে পারি, তাদের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরিদের কেউ যেন বেঁচে না থাকে। সে কারণে তার তিন পুত্রকেই সেদিন তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, তাদের খায়েশ পূরণ হয়নি। বিধাতা অন্যরকম সমাধান দিয়েছিলেন এ জাতির জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ সন্তান। আমরা সবাই জানি, বাঙালি পরিবারে বড়বোনের কাছে ছোটভাই সবচেয়ে আদরের ধন হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ছিল না। ফলে ছোটবোন রেহানা ছাড়া পরিবারের আপনজন সবাইকে হারানো, বিশেষ করে ছোট্ট শিশু রাসেলকে বুলেটের আঘাতে হারানোর বেদনা তার জন্য এক দুঃসহ বোঝা। গত ৪৬ বছর ধরে তিনি এই বিশাল বেদনার ভার বহন করে বাংলাদেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে পিতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন। কেবল তা-ই নয়, তার দূরদর্শী ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় ’৭৫-র ঘাতকদের বিচার ও অধিকাংশের শাস্তি কার্যকর হয়েছে। এভাবে তিনি হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করলেন, ইতিহাসের দায় পূরণ করলেন এবং জাতির কলঙ্ক মোচন করলেন। তার এ ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ জাতি চিরকাল স্মরণ করবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সকল ইউনিয়নের, সদস্য  নাজনিন নাহার পলি,  সদস্য খলিল মোল্লা। কার্যনির্বাহী সদস্য মেহেদী হাসান। শেখ  রাসেলে পৌরসভার মোঃ ফারুক হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার, আরো উপস্থিত ছিলেন,  বিশারকান্দির  ইউনিয়নের ‌ সভাপতি শামিম আহমেদ, উজিরপুর সাতলা ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ মাসুম বিল্লাহ, বিজয ঘরামি, উদয়কাঠী ইউনিয়ন এর সাইদুল মেম্বার, সমীর মন্ডল, বাইশারী ইউনিয়নের , সাধারণ সম্পাদক মাসুম শিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা কালাম বালি, সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের , ,নুরুল,  মোহাম্মদ আমীন,  হালিমা বেগম, সখিনা বেগম, কনিকা রানী , সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলমাস হোসেন,  মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, চাখার ইউনিয়নের মোহাম্মদহারুন মাস্টার, মেম্বার সোহেল, বানারীপাড়ার সদর ইউনিয়নের চানু দাস, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ।


আরো পড়ুন