মেডিকেল কলেজ নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এক রিট মামলা শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ অপারগতা প্রকাশ করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে এদিন আদালতে আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম শুনানি করেন।
ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আগে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে ১১০ শিক্ষার্থীর ভর্তির অনুমতি ছিল। ২০২১ সালে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ৫০ শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা যাবে না। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছিলাম। তখন মাত্র ১০ জন বাড়ানো হয়। অর্থাৎ ১১০ জনের জায়গায় ৬০ জনকে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়।
ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আমরা হাইকোর্টে রিট করি। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রিট মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে আদালত বলেন, ‘যেহেতু জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব আমাদের বেঞ্চের প্রশংসা করেছেন। তাই এ রিট মামলা অন্য বেঞ্চে হওয়াই ভালো। যদি আমাদের বেঞ্চ থেকে একটি অর্ডার হয়, তাহলে অন্য কেউ বিরূপ মন্তব্য করতে পারেন। তাই আপনারা রিটটি অন্য বেঞ্চে শুনানি করেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করেন। জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সম্প্রতি একটি খুনের মামলায় দুই বিচারপতি বাংলাতে রায় দিয়েছেন। তাদের অভিনন্দন। একইভাবে যখন পরীমণিকে হয়রানি করা হচ্ছিল, তারা (দুই বিচারপতি) প্রতিকারের চেষ্টা করেছেন। আমাদের যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুণী ও সজ্জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম। সবচেয়ে খারাপ হচ্ছেন এ বি এম খায়রুল হক।