• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন

চীনের ডেভলপার কোম্পানি এভারগ্রান্ডের দায় তিনশ বিলিয়ন ডলার!

অনলাইন ডেস্ক / ১৬৪ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

চীনের সবচেয়ে বড় ডেভলপার কোম্পানি এভারগ্রান্ডের ওপর ক্ষুব্ধ সেখানকার বাড়ি ক্রেতারা। ১৬ লাখ অ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তরের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। যারা সিমেন্ট, পেইন্ট, রাবার এবং তামার পাইপ বিক্রি করেছেন তারা  ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাবেন। যেসব কর্মচারী বিনিয়োগ করেছিল তারা এখন শঙ্কায় রয়েছে কোম্পানি তাদের ঠিক সময় পাওনা পরিশোধ করতে পারবে কিনা। নিউইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

চীনের একটি বড় ডেভলপার কোম্পানির এমন দায় বিশ্বব্যাপী রিয়েলএস্টেট বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ৩০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণের দায় রয়েছে কোম্পানিটির উপড়। কোম্পানির বিলিয়নিয়ার চেয়ারম্যান আজ মঙ্গলবার কর্মচারীদের বলেন,তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু অনেকের প্রশ্ন হল,কোম্পানিটি বেইজিংয়ের নেতৃত্বে না গিয়ে নিজের বর্তমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারে কিনা। বিশেষজ্ঞরা সরকারী জামানত ছাড়া এভারগ্রান্ডের ধরে রাখার ক্ষমতা এবং সম্ভাব্য পতনের পরিণতি সম্পর্কে ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী করছেন।

এশিয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং থেকে কোম্পানির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি মারাত্মক পূর্বাভাস এসেছে। এতে বলাহয়, আমরা বিশ্বাস করি বেইজিং কেবল তখনই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে যদি একটি সুদূরপ্রসারী সংক্রমন ঘটে যার ফলে একাধিক প্রধান ডেভলপাররা ব্যর্থ হয় এবং অর্থনীতির জন্য পদ্ধতিগত ঝুঁকি তৈরি করে।

কোম্পানির শেয়ার এবং এর বন্ড দুটোরই মঙ্গলবার পতন হয়, যদিও চলতি সপ্তাহের তুলনায় আরও্র কম পরিমাণে হয়েছে এটি। এর শেয়ার ০.৪ শতাংশ কমে বন্ধ হয়েছে, এবং অন্যান্য চীনা-কেন্দ্রিক ডেভেলপারদের শেয়ার যা সোমবার ভেঙে পড়েছে তাদের কিছু ক্ষতি পুনরুদ্ধার হয়েছে। হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক, যা সোমবার ৩.৩ শতাংশ কমেছে, ০.৫ শতাংশের উন্নতি নিয়ে দিন শেষ হয় তাদের।

এভারগ্রান্ডের মতো বড় একটি সংস্থার জন্য এমন একটি পতন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে এবং এর বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে কোম্পানির সাফল্যের সময় কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগকারীরা এখন আতঙ্কিত। এই আতঙ্ক চীনের আবাসন বাজারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা দেশের প্রবৃদ্ধির একটি বড় উৎস।

হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিভাগের অধ্যাপক ঝিভু চেন বলেন, কর্মকর্তারা এখনো তাদের হাতে কিছু মাধ্যম রেখেছেন, তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটি ভেঙে দেবে এবং এটির অবশিষ্ট যন্ত্রাংশ টুকরো টুকরো করে বিক্রি করবে। তারা দ্রুত একটা ঘোষণা দেওয়ার জন্য অনেক চাপের মুখে রয়েছে।


আরো পড়ুন