• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন

ভ্রাম্যমান আদালতের ছবি তুলতে সাংবাদিকদের অনুমতির প্রয়োজন আছে কিনা বিএমএসএফ এর আইনজীবী

ডেস্ক রিপোর্ট / ৪১৩ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট, ২০২১

ভ্রাম্যমান আদালতের ছবি তুলতে সাংবাদিকদের অনুমতির প্রয়োজন আছে কিনা। বরিশালে এরুপ ছবি তোলা নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট -সাংবাদিক মূখোমুখি। এ বিষয়ে বলছেন বিএমএসএফ এর আইন উপদেষ্টা কাউছার হোসেন আ্যডভোকেট সুপ্রিম কোর্ট ।

মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এ এবিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন বিধান নেই।সাধারনত বিচারিক আদালতের কার্যক্রমের কোন ছবি তোলা বা প্রকাশ করা যায় না।কিন্তু মোবাইল কোর্ট যেহেতু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রকাশ্য স্থানে পরিচালিত হয় এবং পরিচালিত হবার সুনির্দিষ্ট কোন টাইম নেই অর্থাৎ যেকোন সময় যেকোন স্থানে পরিচালিত হতে পারে এবং যিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন তিনি সচেতনতা প্রচারনা চালাচ্ছেন নাকি অন্য কোন নির্বাহী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তা অনেকসময় আলাদাও করা যায় না,তাছাড়া অনেক সময় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায় বিধায় কিছু কিছু সময় অরজিনাল ও ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সনাক্তকরন প্রয়োজন পড়ে তাই একজন সাংবাদিক সরল বিশ্বাসে জনস্বার্থে প্রকাশের উদ্দেশ্যে বা তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ছবি ধারন করলে তা যে আইনের ব্যত্যয় হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন বিধান নেই।পাশাপাশি তথ্য অধিকার আইনের-৩২ ধারা অনুযায়ী যেসকল সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান তথ্য অধিকার আইনানুযায়ী তথ্য দিতে বাধ্য নয় তার মধ্যে মোবাইল কোর্ট অন্তর্ভুক্ত নয়।তাছাড়া হরহামেশাই অনেক মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে থাকেন,টিভি মিডিয়ায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন যা বিচারিক আদালত করেন না,এছাড়া মোবাইল কোর্টের তথ্য প্রকাশ হলে সাধারন জনগনের মধ্যে আইন মানার বিষয়ে সচেতনতাও বৃদ্ধি পায়।তাই আমার জানামতে সরল বিশ্বাসে জনস্বার্থে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে মোবাইল কোর্টের ছবি সংগ্রহ করার বিষয়ে আইনী কোন সুনিদির্ষ্ট বাধা নেই।তবে এবিষয়ে উভয় পক্ষকে সহনশীল ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত।


আরো পড়ুন