স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেছেন, স্বাভাবিক সময়ে অক্সিজেনের চাহিদা ৭০ থেকে ৯০ টনের মতো থাকে। কিন্তু এখন তা ২০০ টনে চলে গেছে। তবুও দেশে এখনো অক্সিজেনের জোগান আছে এবং ভারত থেকেও আমদানি হচ্ছে।
আজ সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
করোনার টিকার বয়সসীমা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ বছর করা যায় কি না, সে বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এটা কীভাবে করা হবে, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হবে।
গ্রামপর্যায়ে টিকা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের অন্যান্য টিকা যেভাবে দেওয়া হয়, সেভাবেই করোনার টিকা দেওয়া যায় কি না এবং আরও সহজ কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে সরকার ভাবছে।
টিকা নেওয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, মুগদা হাসপাতালে কয়েকজন বয়স্ক রোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন, যাঁদের অবস্থা খারাপ। তারা কেউ টিকা নেননি। তাদের টিকা নেওয়া উচিত। টিকা নেওয়ার পরে আক্রান্ত হলেও উপসর্গ কম থাকে। ঝুঁকি কম থাকে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ আলম বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব কি না, তা এখনও বুঝতে পারছি না। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে সরকারের ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট ভালো আছে। মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে।
বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে খুরশীদ আলম বলেন, আগের দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধে তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। তবে সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ কমেছে। তবে আরও কিছুদিন পরে বিধিনিষেধের প্রভাব বোঝা যাবে বলে জানান।