• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০ অপরাহ্ন

আদমদীঘি সান্তাহারের হোটেল স্টার  দখল নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ !

হুমায়ুন আহমেদ রিপোটার,আদমদীঘি বগুড়া / ১৬৫ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারের হোটেল স্টার জোড়পুর্বক দখল নেয়ার পায়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আমানতকারি নারী ঐক্য পরিষদ। আজ ১৩ জুন রবিবার বিকেলে হোটেল স্টারের সামনে আমানতকারি নারী ঐক্য পরিষদের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।
আমানতকারি নারী ঐক্য পরিষদের সভানেত্রী বৃষ্টি আকতারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি শাহিনুর আকতার রিয়া ও পারুল আকতার প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সান্তাহারে হোটেল স্টারের আমানতকারি নারী ঐক্য পরিষদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে দখলের চেষ্টাকারিদের যেকোন মূল্যে রুখে দেয়া হবে। হোটেলের মালিক পক্ষ যেহেতু ৩৪ জন নারীর ৭৪ লাখ টাকা পাওনার জন্য টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদেরকে হোটেল হস্তান্তর করেছে সেহেতু কোন ভাবেই বর্তমান দখলভুক্তদের বাদ দিয়ে রেল কতৃপক্ষ অন্য কাউকে হোটেল লাইসেন্স দিতে পারে না। রেলের কোন পাওনা থাকলে তা অবশ্যই নারী ঐক্য পরিষদ পরিশোধ করবে। এ বিষয়ে নারী আমানতকারিরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
এ বিষয়ে আমানতকারি নারী ঐক্য পরিষদের সভানেত্রী বৃষ্টি আকতার বলেন, সান্তাহারের আপ্রকাশি মাল্টিপারপাস তাদের ৩৪জন নারীর ৭৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের আমানতের প্রায় ২’শ কোটি টাকা নিয়ে এর নিবার্হী পরিচালক এসএম জুয়েল স্বপরিবারে ২০১৬ সালে পালিয়েছেন। এ অবস্থায় এসএম জুয়েলের ব্যবসা, জায়গা জমি ও বসতবাড়ি বিভিন্নজন দখল করে নেন। এ সময় সান্তাহার আমানতকারি নারী ঐক্য পরিষদ স্টার হোটেল দখল নিয়ে তা পরিচালনা করে  লভ্যাংশ ৩৪ জন আমানতকারির মধ্যে বন্টন করে আসছিলেন। হোটেল দখল নেবার পর এসএম জুয়েল ও তার ভাই সোহেল পাওনা ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত হোটেলটি নারী আমানতকারিদের কাছে লিখিতভাবে হস্তান্তর করেন। বর্তমানে হোটেল স্টারের মালিকানা দাবিদারদের মধ্যে ফিরোজ হোসেন বলেন, আমি ও হোটেলের পাশের মুদি দোকানী রানা ওই হোটেলে গত ৫মাস ব্যবসাকালে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ইনভেষ্ট করেছি।
হোটেলটি সেসময় আমাদের দখলে থাকায় আমরা ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার ৫০ হাজার টাকাও পরিশোধ করেছি এবং হোটেল আমাদের দখলেই ছিলো বলে ম্যাজিস্ট্রেট তার আদেশে উল্লেখ করেছেন। সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি যেহেতু রেলওয়ের। সেহেতু মালিকানার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষই ঠিক করবেন। তবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন কোন অবনতি না না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হবে।


আরো পড়ুন