• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন

সংবাদ প্রকাশের জেরে মহাদেবপুরে বালু ব্যবসায়ীদের হামলায় দুই সাংবাদিক আহত!!

/ ৩৩৬ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৯

মহাদেবপুর (নওগাঁ) সংবাদদাতা : নওগাঁর মহাদেবপুরে বালু মহাল নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে ‘দৈনিক যায়যায়দিন’ পত্রিকার মহাদেবপুর উপজেলা প্রতিনিধি ইউসুফ আলী সুমন (২৩) এবং ‘দৈনিক দুরন্ত সংবাদ’ পত্রিকার মহাদেবপুর প্রতিনিধি আমিনুর রহমান খোকনের উপর হামলা হয়েছে। উপজেলার মহিষবাথান মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সাংবাদিক ইউসুফ আলী সুমন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ এপ্রিলে আত্রাই নদীর মহিষবাথান বালু মহাল নিয়ে ‘মহাদেবপুরে নীতিমালা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন’ শিরোনামে জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে প্রশাসন সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। এরই জের ধরে আত্রাই নদীর মহিষবাথান ঘাটের বালু ব্যবসায়ী হেলাল সরদার (৪০), মতিন (৪৫) এবং রাসেল (৩৫) সহ তাদের সহযোগীরা বিভিন্ন ভাবে ইউসুফ আলী সুমনকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। গত ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেলে মহিষবাথান ঘাট এলাকার নদী পাড়ের বাসীন্দাদের ডাকে আবারো অবৈধ্য খনন যন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে বালু উত্তোলনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে বালু ব্যবসায়ীরা সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তাদের হুমকি-ধামকি দেয়।

গত ৫ আগষ্ট মোটরসাইকেল যোগে সাংবাদিক ইউসুফ আলী সুমন ও আমিনুর রহমান খোকন জেলার পত্নীতলা থানার উদ্যেশে যাওয়ার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহিষবাথান মোড়ে অপর একটি মোটরসাইকেল তাদেরকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে। ধাক্কায় ইউসুফ আলী সুমন ডান পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রাস্তায় উপর বসে পড়েন। এসময় আমিনুর রহমান খোকন ওই মোটরসাইকেল আরোহীকে বাধা প্রদান করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি (বাকবিতন্ডা) হয়। এসময় বালু ব্যবসায়ী হেলাল সরদার, মতিন এবং রাসেলসহ ৫-৭ জন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে দুইটি ক্যামেরা ও একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।

তাদের ডাক-চিৎকারে পথচারিরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা স্থানীয়দের উপর চড়াও হয় ও সবাইকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ছিনতাইকারী আবার কেউ কল্লা কাটা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।

এরপর দুই সাংবাদিককে মহিষবাথান মোড়ের একটি দোকানে নিয়ে সাটার বন্ধ করে প্রায় ২ ঘন্টা আটকে রাখা হয়। তারা যেন আইনের আশ্রয় নিতে না পারে এজন্য একটি সাদা কাগজে লেখা আপোসনামায় জোর করে স্বাক্ষর নেয়া হয়। এসময় মোবাইল ফোন ফেরত দেয়া হলেও ক্যামেরা দুইটি ফেরত দেয়া হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে এসে তারা মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে যান।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এজাহার পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো পড়ুন