লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ৪কিঃমিঃ হেটে গিয়ে দেখাবে ডাক্তার। ছবিগুলো দেখে কি মনে হচ্ছে! এটা ভারতের অথবা আমাদের দেশের কোন দুর্গম এলাকার ঘটনা হবে হয়তো, তাই না? আসলে আপনি যা ভাবছেন তা সঠিক নয়। এটা আমাদের লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলারই ঘটনা। এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যা আমরা অনেকেই জেনেও জানিনা।
দুর্গম রাস্তাঘাট, মাঝপথে তিস্তানদী, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গাড়িঘোড়া না থাকায় ১৫-২০ হাজার লোকের এ দুঃখদুর্দশার যেন শেষ নেই। প্রসূতি মা বা কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে অনেক সময়ে তাদেরকে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরতে হয়।
হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চড় ডাউয়াবাড়ী এলাকায় হতে ৪ কিলোমিটার পায়ে হেটে জ্বরে আক্রান্ত ছোট ভাইকে ভার সাজিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছিল ভোটমারী এলাকায়। লক্ষ ভালো ডাক্তার দেখানো, যাতে ভাইটি তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে। ভোটমারীতে ভালো ডাক্তার কই পাবে, পেতে হলে তো বাস বা অটোতে করে আরও ১২ কিলোমিটার দূরে উপজেলা শহর হাতীবান্ধা হাসপাতালে আসতে হবে অথবা ৪০ কিলোমিটার দূরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হবে। চড় এলাকায় কেউ অসুস্থ হলে এভাবেই ভার সাজিয়ে ৭-৮ কিলোমিটার পর্যন্ত পায়ে হেটে পায়ে হেটে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। যা সবার পক্ষেই সম্ভব নয়।
ভোটমারী বাস স্ট্যান্ডের পশ্চিমের তিস্তা নদীর ঘাটে একটি ব্রীজ থাকলে হয়তো এমন করুণ দৃশ্য আজকে আমাদের দেখতে হতো না।
অনতিবিলম্ব ঐ চড় এলাকায় একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করেন সাংবাদিক ইউনুস আলি ।
সাংবাদিক ইউনুস আলির পোষ্টের নিচে অনেকে মন্তব্য করেন, শরীফ নামে একজন মন্তব্য করেন ভাই ঘটনাটি দুঃখজনক তাহলে আপনি ভোটমারি অথবা ডাউয়াবাড়িকে উপজেলা বানিেয়ে হাসপাতাল বানিয়ে দিন , তার জবাবে ইউনুস আলী, কি কন এইল্লা কথা, মুই যদি তা করবার পানুং হয়, তালে তোমাক কি এইল্লা কথা শোনানুং হয়। রবি নামে একজন মন্তব্য করেন, ধন্যবাদ প্রিয় সাংবাদিক ভাই, উপযুক্ত একটি দুর্দশার চিত্র তুলে ধরার জন্য।