• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন

ভান্ডারিয়ায় স্ক্র্যাচ কার্ডে পণ্য বিক্রির নামে চলছে জুয়া খেলা।

/ ৩৫৯ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯

মোঃ বাদল পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ ভান্ডারিয়া উপজেলা ১ নং ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাপালির হাট বাজারে কাপালির হাট হাই স্কুলের শহীদ মিনারের পাশে একটি ঘরে স্ক্র্যাচ কার্ড দিয়ে পণ্য বিক্রির নামে জুয়া খেলা চলছে। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় মাদারিপুর জেলার ১১/১২ জন যুবক এই জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ওসি কারোই অনুমতি না নিয়ে তাঁরা এ প্রক্রিয়ায় পণ্য বিক্রি করছেন। তাদের কাছে নেই কোন বৈধ্য কাগজপত্র এমনি ব্যবস্যা পরিচালনা করার ট্রেড লাইসেন্স।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাপালির হাট হাই স্কুল সংলঘœ আধাপাকা দুটি কক্ষে সার্ভিস ফর অল (সেফা) কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছে। নি¤œ মানের ইলেকট্রনিকস ও ক্রোকারিজ পণ্য সহ নানা ররকম পণ্য বিক্রী করা হচ্ছে। কার্ডে হেড অফিসের ঠিকানা ৮৮/৪ উত্তর যাত্রাবাড়ি, ঢাকা-১২০৪ উল্লেখ করা হয়েছে। উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের পুরো মাঠপর্যায়ে নানা কৌশলে এই প্রতারক চক্র স্ক্র্যাচ কার্ড কিনতে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে আসছেন। আয়োজকদের দেওয়া তথ্য ও ব্যানার-ফেস্টুনে লেখা নিয়ম অনুসারে, গ্রাহক বা ক্রেতাকে প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির সদস্য হতে ৫০ টাকার একটি কার্ড কিনতে হয়। স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষলে যে পণ্যের নাম বের হবে তা নিতে ১৩৯৯ টাকা দিতে হবে। আর ক্র্যাচ কার্ডে কোনো পণ্যের নাম না উঠলে ১০০ টাকা ফেরত দেওয়া হয় গ্রাহককে। অভিযোগ মতে, ঘষে পাওয়া পণ্যের দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশি নয়। অথচ পাঁচ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা মূল্যেরও লোভনীয় পণ্য রাখা হয়েছে।

দামি পণ্য কারো ‘ভাগ্যে’ জোটে না। স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুল, রিপন, কাইয়ুম জানান গ্রামের মানুষ লোভে পড়ে এ কার্ড কিনতে ভিড় করছে। দামী পণ্য পাওয়ার আশায় স্কুলের ছাত্র ছাত্রী সহ স্থানীয় লোকজন এই কার্ড কিনে প্রতারিত হচ্ছে। সার্ভিস ফর অল (সেফা) কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক পরিচয়দানকারী মো. সুমন বলেন, ভান্ডারিয়া ইউএনও, ওসি অনুমতি নিয়েই আমরা পণ্য বিক্রয় করছি। এটা জুয়া খেলা নয়। এটা স্ক্র্যাচ কার্ড দিয়ে পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র।’ অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই সব ঢাকা হেড অফিসে জমা আছে।’ তাঁর ও প্রতিষ্ঠানটির মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে বলেন, ‘হেড অফিসের নিষেধ আছে।’ এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমানকে সেল ফোনে আবহিত করলে তিনি জানান এটা কর ও সুল্ক বিভাগ কে আবহতি করা হবে।


আরো পড়ুন